খোল্টা ইকো-পার্কের অনলাইন গুগল লোকেশন:
https://maps.app.goo.gl/77zcYohWdVwDUBpF8
পার্কের সঠিক পরিচর্যার অভাবে আগাছায় ভরে গেছে সম্পূর্ণ পার্ক। ভেঙ্গে গিয়েছে বাচ্চাদের জন্য বানানো খেলার সামগ্রী গুলিও। পার্কে একটি কৃত্রিম ঝর্ণা থাকলেও সেটিও বন্ধ পড়ে আছে বহুদিন। এবং সেই ঝর্নার জলাশয় ভরে গিয়েছে প্লাস্টিকের আবর্জনায়। এছাড়াও এক সময় এখানে প্রচুর পশু-পাখি থাকলেও। বর্তমানে এই পশু-পাখিদের খাঁচা গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এবং খাঁচা গুলিকে ঘিরে ফেলেছে আগাছা। এবং যে হরিণ গুলি রয়েছে তারাও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। উত্তম রায় নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, \"এটার যা অবস্থা রয়েছে তা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আদৌ এই পার্কে কোন প্রশাসনিক কর্তা আসেন কিনা সেটাই প্রশ্ন। তবে পার্কটি হয়েছে এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন।\"
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব সাইকেল দিবসে র্যালি কোচবিহারে
কিন্তু এই পার্কটির বিভিন্ন সমস্যা গুলির সমাধানে উদাসীন প্রশাসনিক স্তরের কর্তারা। এখানে সঠিক আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা নামলে। এলাকাটিতে শুরু হয় নেশাগ্রস্থদের আনাগোনা। তার প্রমাণ পাওয়া যায় পার্কটির বাইরের বিভিন্ন অংশে। বর্তমানে পার্কটিতে কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন তিনজন কর্মী। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে তাদের হাত-পা বাঁধা। এছাড়া পার্কের হরিণ গুলির পরিচর্যার জন্য একজন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ রয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ সঠিক বেতন না পাওয়ার কারণে রীতিমত হতাশ তিনি।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারের তোর্ষা নদীর রানি বাগান ফেরি ঘাটে নদী পারাপারের স্থায়ী ব্যবস্থা হলনা আজও
অমল রায় নামের ওই ব্যাক্তি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, \"আমি হরিণ কে খাওয়ার দেওয়ার কাজ করি এখানে। আমার কাজের সময় সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। আবার ২.৩০ থেকে ৪টা পর্যন্ত। তবে আমি বারংবার বলেও আমার বেতনের সঠিক ব্যবস্থা করে উঠতে পারিনি।\"
Sarthak Pandit