এলাকায় প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ ভোটার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জল সমস্যার কারণে এ বছর তারা ভোট বয়কট করবেন বলেও হুমকি জানিয়েছেন। এক্স স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার আলি বলেন, "আমরা কিভাবে জল পাবো সেই পরিষেবা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। আমাদের এই দীর্ঘ সমস্যার সমাধান কবে হবে তা আমরা সঠিক জানিনা। বারংবার আমরা জানিয়ে এসেছি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে। তবে এখনো পর্যন্ত এই সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা মাথায় নিয়েই আমাদের জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারা এই বিষয়টা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভাইফোঁটার দিনেও মন্দার বাজার! দুশ্চিন্তায় বিক্রেতাদের একাংশ
এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মুজিবুর হক বলেন, "আমাদের এই জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা সমাধানের আশায় আমরা দীর্ঘ সময় ধরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়ে আসছি। তবে তার একটাই বক্তব্য জলের বিষয়টি বর্তমানে পঞ্চায়েতের আওতায় নেই। এটা সম্পূর্ণ রকম ভাবে রয়েছে পিএইচই-এর আওতায়। তবে এই সমস্যার সঠিক সমাধান কবে হবে তা সঠিকভাবে কেউই বলতে পারছেন না।"
আরও পড়ুনঃ কচ্ছপকূলের বেহাল দশা! চিন্তায় বন দফতরের আধিকারিকেরা
অন্যান্য পঞ্চায়েত এলাকার তুলনায় এই এলাকায় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ সময় ধরে অন্য এলাকায় গিয়ে মানুষদের জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এজন্য বচসাও বাঁধছে। এই বিষয়টি সকল কর্তৃপক্ষের জানা সত্ত্বেও কেউ কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। কিছুদিন আগে এলাকায় জনস্বাস্থ কারিগরি দফতরের লোকেরা পরিদর্শনে আসলেও। পরিস্থিতি বদল হয়নি। সামনেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। এবার ভোটের আগে জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না তৈরি হলে রীতিমত ভোট বয়কটের কথা বলেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
Sarthak Pandit