সেই থেকেই মাথাভাঙ্গার পুজোর আয়োজকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই ক্ষোভ প্রশমনে প্রথম দিকে সুটুঙ্গা নদীতে নৌকার মাধ্যমে বিসর্জন করা হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪ জন করে দর্শনার্থীদের নৌকায় ভ্রমণের অনুমতি দিলেও প্রতিমা নিরঞ্জন করতে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর সেই থেকেই পুজোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আগামীর অপেক্ষায় সিঁদুরের রঙে রাঙিয়ে বিদায় মদনমোহন বাড়ির উমাকে
আজাদ হিন্দ সংঘের সদস্যদের দাবি, "মাঝে দু’বছর করোনার দোহাই দিয়ে নৌকাতে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে দেওয়া হয়নি। এবার কোন অজুহাত ছাড়াই মহকুমা প্রশাসন সুটুঙ্গাতে নৌকার মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে দেয়নি। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না মাথাভাঙ্গার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে সুস্থ-সংস্কৃতি উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য লুকিয়ে রয়েছে। এই ঐতিহ্য কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।"
আরও পড়ুনঃ নিরঞ্জনের পর মাথাভাঙ্গার সুটুঙ্গা নদী থেকে কাঠামো তুলল পুরসভা
এমনটা দাবি করা হয়েছে ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। তাই তারা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিজয়া দশমীর পরের দিন মাথাভাঙ্গার পথে নেমেছেন। এখন দেখার বিষয় ভবিষ্যতে মাথাভাঙ্গা মহকুমা প্রশাসন এই পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন করে। তবে এই গোটা ঘটনার বিষয় নিয়ে মাথাভাঙ্গা মহকুমা প্রশাসনিক স্তরের কারো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।
Sarthak Pandit