আরও পড়ুন: ফিরে তাকায়নি প্রশাসন, চাঁদা তুলে রাস্তা গড়লেন গ্রামের বাসিন্দারা
কোচবিহারের এই এলাকার পটচিত্র শিল্পী সুভাষ পাল জানান, ছোটবেলা থেকেই অল্প অল্প করে এই জিনিসগুলি তৈরি করতে শিখেছেন। একটা সময় বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর সময় এই জিনিসগুলো দরকার হত। তখন অন্য কারোর কাছ থেকে কিনে আনতে হতো। তারপর নিজেরাই বানাতে শুরু করেন। বর্তমান এটাই তাঁর পেশা। বেশ ভালই লাগে এসব বানাতে। লক্ষ্মী পুজোর সময়ে এগুলোর চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে হয়। গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য এই মাটির সড়াগুলিকে বহু মানুষ তাঁদের ঘর সাজানোর জন্যও নিয়ে গিয়ে থাকেন।
advertisement
এই মাটির পটচিত্রগুলির পাইকারি মুল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে বাজারে খুচরা বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর দাম দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ বেড়েও যায়। মূলত বাড়িতেই এই জিনিসগুলি নিজেদের হাতে তৈরি করে থাকেন এই শিল্পীরা। তারপর রং এবং তুলির টানে লক্ষ্মী আঁকেন। বেশ কিছু পটের মধ্যে লক্ষ্মী ও নারায়ণের ছবি ফুটিয়ে তোলেন। গ্রাম্য এলাকার বিভিন্ন হাট গুলিতে কিংবা বাজার গুলিতে বিক্রি হয় এসব মাটির সড়া। তবে আধুনিকতার ছাপ কিছুটা হলেও গ্রাস করেছে এই গ্রাম্য ঐতিহ্যকেও।
সার্থক পণ্ডিত