কোচবিহারের মনসা বিষহরি পুজোয় রীতি আছে বিষহরি পালাগান করার। মূলত রাজবংশী মানুষেরা এই পালাগান গুলি করে থাকেন। তবে প্রায় দু'বছর করোনা অতিমারীর কারণে হয়নি এই পালাগান। তাই দুই বছর পর সব কিছু স্বাভাবিক থাকায় মদনমোহন মন্দিরে মনসা পুজোয় বসতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী বিষহরি পালা গানের আসর। চারদিন ধরে মদনমোহন মন্দির চত্বরে ওই পালা গানের আসর চলবে। বিভিন্ন জায়গায় ওই পালাগান যাঁরা করবেন ইতিমধ্যে তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে দেবত্র ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
advertisement
কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির গুগল ম্যাপ লিঙ্ক:
আরও পড়ুন: অনুব্রতর 'বেনামী' সম্পত্তির মালিক, কে এই আব্দুল লতিফ? বিস্ফোরক তথ্য চমকে দেবে
আরও পড়ুন: সুকন্যাকে জেরা করতে অনুব্রতর বাড়িতে CBI, বেরিয়ে এলেন মাত্র ১০ মিনিটেই! বাড়ছে রহস্যে
কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের বড়বাবু জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, "করোনার কারণে গত দু'বছর মনসা পুজো হলেও ঐতিহ্যবাহী বিষহরি পালাগানের আসর বসেনি। মনসা পুজো দীর্ঘ বহু বছর বছরের পুরানো। মদনমোহন মন্দির তৈরি হওয়ার আগে এই পুজো ডাঙরাই মন্দিরে হত। চারদিন ধরে এই পুজো হয়। এই পুজোতে মন্দিরের মালি অমর কুমার দেব চাঁদ সওদাগর রূপে বংশ পরম্পরায় বাঁ হাতে দেবী মনসাকে পুজো দিয়ে আসছেন। রাজ আমল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। ভেটাগুড়ির শোলা শিল্পী ধীরেন্দ্র মালাকার বংশ পরম্পরায় মন্ডুষ তৈরি করে আসছেন। ১৮ ফুট সেই মন্ডুষটিতে চাঁদ সওদাগরের কাহিনী, বেহুলা-লখীন্দরের কাহিনী-সহ তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, চারদিন ধরে পুজোতে চলবে ঐতিহ্যবাহী বিষহরি পালাগানের আসর। লুপ্তপ্রায় এই গানের আসরে ভিড় জমান কোচবিহারের স্থানীয় বহু মানুষ।"
Sarthak Pandit