স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক সশক্তিকরণ কর্মসূচির ২১ লক্ষ টাকায় ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে এটি তৈরি করা হয়েছিল এখানে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের চিলারায় এলাকায় এই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প গড়ে উঠেছিল। কিন্তু উদ্বোধনের কিছুদিন পর থেকেই প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্প্রতি প্রাথমিকভাবে কিছু কাজকর্ম শুরু হলেও কারখানার চারিদিকে আগাছায় ভরে গিয়েছে।
advertisement
এই প্রকল্পের মাধ্যমে উৎকৃষ্টমানের কেঁচো সার ও জৈব সার তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভালভাবে কাজ শুরুর আগেই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মূল উদ্দেশ্যটি কাজে লাগানোই সম্ভব হয়নি। অন্দরানফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান এই বিষয়ে জানিয়েছেন, "নানা রকম সমস্যার কারণে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি প্রাথমিকভাবে কিছু কাজকর্ম শুরু করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার সতীঘাট সেতু সংস্কার শেষ হতে আরও দু'মাস সময় লাগবে
আইএসজিপি প্রকল্পের ২১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয় এই প্রকল্পটি। আইএসজিপি কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল, নির্বাচিত পঞ্চায়েতগুলোকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও শক্তিশালী করে তোলা। এর মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক সশক্তিকরণ। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি চিলারায় গড়ের পরিবর্তে অন্যত্র গড়ে উঠলে হয়ত উদ্বোধনের পর পরই বন্ধ হত না। এমনটা মনে করছেন বহু মানুষ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানা যায়, "এই প্রকল্পটিতে উৎকৃষ্টমানের কেঁচো সার, জৈব সার তৈরি করে সুলভ মূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু কেঁচো সার ও জৈব সার তৈরির জন্য প্রয়োজন কাঁচামাল। যেমন সবজির খোসা, পচা গোবর, গাছের পাতা, আগাছা ইত্যাদি। তা বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করার জন্য শুরুতে শ্রমিকও ছিল। কিন্তু কয়েকদিন পর প্রয়োজনীয় কাঁচামাল না পাওয়ার জন্য প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্রুত কাজকর্ম শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।"
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রশাসনের উদাসীনতায় এত সুন্দর একটি প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। প্রকল্পটির পুনরায় চালু করা হলে খুব ভাল হয়। এখান থেকে সুলভ মূল্যে জৈব সার কিনে চাষাবাদ করলে উন্নত মানের ফসল পাওয়া যেত। প্রকল্পটি যাতে যত দ্রুত সম্ভব চালু করা যায় সেই বিষয়ে নজর দিক প্রশাসন।
সার্থক পণ্ডিত