তবে গ্রাম্য এলাকায় হলেও এই পুজো সাধারণ মানুষের মন জয় করে নেয় প্রতি বছর। এ বছর কিশোর সংঘ ও পাঠাগারের থিম তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাসের বেশি। কোচবিহারের শিল্পীদের নিপুণ শিল্প কলা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে এই পুজো মণ্ডপের ভেতরের ও বাইরের বিভিন্ন কারুকার্য। এখনো পর্যন্ত মোট ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে এই পুজো মন্ডপ তৈরি করতে ও পুজোর মধ্যে। তবে গ্রাম্য এলাকা হওয়ার কারণে এই বিপুল অংকের টাকার যোগান করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হয়েছে পুজো মন্ডপ!
ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, "প্রতিবছর পুজোর যে বাজেট করে পুজোর কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়। পুজো শেষ হওয়ার পর দেখতে পাওয়া যায় সেই বাজেট অতিক্রম করে চলে গেছে মোট টাকার পরিমাণ। তাই অগ্রিম কোনভাবেই বলা সম্ভব নয় যে পুজোর মোট বাজেট কত রয়েছে।" কোচবিহার জেলা শহরের আশেপাশের গ্রাম্য পরিবেশের যে সমস্ত পুজো গুলি প্রতিবছর নিত্য নতুন থিম তৈরির মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের মন জয় করে।
আরও পড়ুনঃ সাবেকি প্রতিমা ও বাঁশের কাজের মণ্ডপ সজ্জা নজর কেড়েছে কোচবিহাবাসীর
তার মধ্যে কোচবিহার টাকাগাছ এলাকার কিশোর সংঘ ক্লাব ও পাঠাগার অন্যতম। প্রতিবছর দুর্গা পুজোর আসার আগে থেকে সমগ্র কোচবিহারবাসি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে এই কমিটির দুর্গা পুজোর মন্ডপটি দেখার জন্য। সবশেষে বলতেই হয় কোচবিহার জেলার সদর শহরের লাগোয়া গ্রাম্য এলাকার দুর্গা পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা পুজো হলো টাকাগাছ কিশোর সংঘ ক্লাব ও পাঠাগারের দুর্গাপুজো।
Sarthak Pandit