তবে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড এখনও অক্ষুন্ন রেখেছে সেই রাজ আমলের রীতি ও ঐতিহ্য। ময়না কাঠের দন্ড দিয়ে তৈরি হয় দেবীর মূল কাঠামোর ভিত্তি। তারপর খড়, মাটি ও বাঁশ দিয়ে বানানো হয় দেবীর সম্পূর্ণ মূর্তি। দীর্ঘ ২৫ বছর সময় ধরে এই মুর্তি তৈরি করে আসছেন কোচবিহার ডোডেয়ার হাট এলাকার প্রতিমা শিল্পী প্রভাত চিত্রকর। তিনি বলেন, "প্রাচীন রীতি প্রথা ও ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরা এখনো পর্যন্ত একই রকম ভাবে মূর্তি তৈরি করি। ময়না কাঠের দন্ডকে পুজো করা হয় এবং হাওয়া খাওয়ানোর পর শুরু করা হয় এই মূর্তি তৈরির কাজ। দেবীর মূর্তি তৈরিতে সময় লাগে বেশ অনেকটা। তাই বেশ কয়েকজন মিলে আমরা এই কাজ করে থাকি।"এছাড়া দেবীর মূর্তি তৈরির পাশাপাশি এই মন্দিরের নিত্য পুজো করা হয়ে থাকে।
advertisement
একদিকে চলে প্রতিমা বানানোর কাজ, অন্য দিকে চলে নিত্য পুজো। নিত্য পুজোর পূজারী কৌশিক চক্রবর্তী জানান, "ময়না কাঠের দন্ড পুজোর পর থেকে যেদিন প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করা হয়। তারপর থেকে এখানে নিত্য পুজো করা হয়। দুপুর নাগাদ এখানে এই নিত্য পুজো করা হয়ে থাকে।" এছাড়া কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান বলেন, "কোচবিহারের রাজ আমলের রীতি ও প্রথা অনুযায়ী দেবী বাড়ির মন্দিরে যে বড় দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। সেই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। সমস্ত রকম নিয়ম ও নিষ্ঠা সহকারে মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। সমগ্র কোচবিহারের মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই পুজোর সঙ্গে।"
Sarthak Pandit