যদিও ট্রায়াল গুলি দেওয়ার সময় পাওয়ার জেনারেটরের মাধ্যমে চালানো হয়েছিল এই কাস্টমাইজড শো অয়াকুয়াস্ক্রিন। তবে দীর্ঘদিন তো এই ভাবে চালানো সম্ভব নয়, তাই এটি চালানোর জন্য প্রয়োজন একটি চিরস্থায়ী ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবস্থাপনার। এই বিষয়ে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে জানান, “এক সময় প্রচুর পয়সা খরচ করে এটি বানানো হইয়েছিল কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও পরিকাঠামোর অভাবে আজ এটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া ভবিষ্যেতেও এটি আদৌ কোনদিন চালু হবে কিনা সেই বিষয় নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোচবিহারবাসীর মনে”।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দাবিতে মহকুমা শাসকের কাছে স্মারক জমা
তবে এটি চালু হোক কিংবা নাই হোক এই বন্ধ পড়ে থাকা কাস্টমাইজড শো অয়াকুয়াস্ক্রিন এর যে সমস্ত যন্ত্রাংশ দিঘীর জলের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। সেই গুলির কারণেই নষ্ট হতে বসেছে দিঘীর ইকো সিস্টেমের ভারসাম্য। ভাসমান এই মেশিন গুলির ওপর রীতিমত জলজ আগাছায় ভরে গেছে। এছাড়াও কোচবিহার মৎস দপ্তর থেকে এই দিঘীতে মাছের চাষ করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা জটেশ্বরে গরুহাটিতে জল জমায় সমস্যায় ব্যবসায়ীরা
তবে এই কাস্টমাইজড শো অয়াকুয়াস্ক্রিনটি থাকার কারণে এই দিঘীর মাছেদের প্রজনন ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে গিয়েছে বলে দাবী করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এই বিষয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “মদন বাড়ির সামনে বৈরাগী দিঘীতে একটা ফোয়ারা-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেটিকে আপাতত পুকুরটির সংস্কার করার কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সংস্কারের কাজ সম্পূর্ন হলেই এটি পুনরায় আবার চালু করা হবে।”
Sarthak Pandit