ছোট, বড় কিংবা মাঝারি সব ধরনের কেক এবারে বাজার মাতাতে চলেছে। এমনটাই দাবি অধিকাংশ বেকারির মালিকদের। বিগত দুই বছর করোনার আবহের কারণে বিক্রির পরিমাণ খুব একটা ছিল না। তবে এই বছর ইতিমধ্যেই সমস্ত বিক্রেতারা কেকের অর্ডার দিতে শুরু করেছেন। তারা জানাচ্ছেন ক্রেতাদের নামী দামি কোম্পানির কেকের চাইতে সস্তার ও সুস্বাদু বেকারির কেক দারুণ পছন্দ হয়।
advertisement
এক বেকারির মালিক পুলক কুমার সাহা জানান, " আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি নানা ধরনের কেক বানানোর। এ বছর বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বেকারির তৈরি কেকের। তবে অন্যান্য বছরে তুলনায় দাম কিছুটা বাড়তে পারে কেকের। যেভাবে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে তাতে আগের দামে কেক বিক্রি সম্ভব হবে না। তবে নতুন নতুন অনেক ধরনের কেক বাজারে আনা হবে এই বছর এমনটাই আশা রয়েছে।"
আরও পড়ুন : চালের গুঁড়ো, নারকেল, ক্ষীর ও গুড়ের তৈরি, শীত পড়তে না পড়েই ভাপা পিঠের স্বাদে মজেছে মালদহ
অন্যদিকে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, "এ বছর বড়দিন উদযাপন যথেষ্ট ভাল ভাবে হতে চলেছে। কারণ, দুই বছর মানুষ বড়দিন খুব একটা উপভোগ করতে পারেনি করোনার কারণে। তাই কেক বিক্রি বাড়বে এই বছর বড়দিনের সময়।" এই আশাতেই বুক বাঁধছেন বেকারির মালিকেরা।
আরও পড়ুন : উল্লসিত বাসিন্দারা, এই প্রথম প্রচুর পরিযায়ী পাখি এল কালনার ছাড়িগঙ্গায়
বড়দিনের দিনে সকলেই কম কিংবা বেশি কেক কিনে খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে কেক-এর চাহিদা কিছুটা হলেও বেড়ে ওঠে। তাই স্বভাবতই বিক্রেতা ও ক্রেতাদের একাংশ মুখিয়ে রয়েছে বাজারে নিত্য নতুন কেক আসার উদ্দেশে। এই কেক বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেকারির অধিকাংশ মানুষের রোজগারের বিষয়। এ বছর কেক বিক্রি ভাল হলে অনেক মানুষ মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। তাই দুটো পয়সা বেশি রোজগারের আশায় বড়দিনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন অধিকাংশ স্থানীয় বেকারির মালিকদের পাশাপাশি বেকারিতে কাজ করা মানুষেরাও। বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, "ইতিমধ্যেই বাজারে প্রচুর চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে। ক্রেতারা বড় কোম্পানির কেকের চাইতে বেকারির তৈরি স্বল্প দামের এবং সুস্বাদু কেক বেশি পছন্দ করেন। তাই আমরাও এবছর বেশি পরিমাণে কেক বিক্রির উদ্দেশে দোকানে রাখতে চলেছি।"