এই সমস্ত দীঘি গুলির মধ্যে অন্যতম একটি দীঘি হল বৈরাগীদীঘি। কোচবিহার সদর শহরের মদনমোহন বাড়ির ঠিক সামনে রয়েছে এই দীঘিটি। বর্তমানে এই দীঘিটি সংস্কার করা হচ্ছে নতুন করে পর্যটনের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে। দীঘির চারিধারে দেওয়া হয়েছে দেওয়াল। এবং দীঘির পাড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুন্দর হাঁটাচলার রাস্তা।
তবে লোকমতে প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে, "এই দীঘিটির জল খুব পবিত্র। তাই সমস্ত শুভ অনুষ্ঠানে কিংবা পুজোর কাজে এই দীঘির জলকে খুব বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও মদনমোহন বাড়ির সমস্ত পুজোর ক্ষেত্রেও এই দীঘির জল ব্যবহার করা হয়।" তবে রাজ আমলের এই দীঘিটির বৈরাগীদীঘি হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়। একটা সময় এই দীঘির ধরে বৈরাগীদের আখড়া ছিল। তখন বহু বৈরাগীরা এসে এখানে স্নান করতেন। এবং এর ধরে বসে কীর্তন গান করতেন। তাই এই দীঘির নাম রাখা হয় বৈরাগীদীঘি। দীঘিটি খননকাজ শুরু করা হয় আনুমানিক ১৮৭০ থেকে ৭১ সনে। তবে সম্পূর্ণ খনন সম্পন্ন হয় ১৮৭৫ সন নাগাদ।
advertisement
আরও পড়ুন: মাঠে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাত! দৌড়ে গাছ তলায় আশ্রয়! শেষ রক্ষা হল না! হাবরায় মৃত দুই
আরও পড়ুন: ঝাঁটা না থাকলে জুটবে না দু'বেলার ভাত! গল্প হলেও সত্যি এই গ্রামের জীবন!
কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী ব্যক্তি স্বপন কুমার রায় জানান, "একটা সময় এই দীঘিটি কোচবিহারে খনন করা হয়েছিল পানীয় জলের অভাব মেটাতে। তবে পরবর্তীতে এই দীঘির এক পাশে মদনমোহন মন্দির স্থাপন করা হয়। এবং তারপর থেকেই এই দীঘির গুরুত্ব বেড়ে ওঠে। এবং সাধারণ মানুষ এই দীঘির জল অনেকটা পবিত্র মনে করতে শুরু করেন।
তবে বর্তমান সময়ে বহুদিন বাদে দিঘিটিকে পুনরায় সংস্কার করে সুন্দর করে তোলার পরিকল্পনা চলছে। এই দীঘিটি সংস্কার করে চারিপাশ সাজিয়ে তোলা হোক। তাহলে জেলার পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে রাজ আমলের এই ঐতিহ্যপূর্ণ দীঘিটির গুরুত্ব আরও অনেকটাই বেড়ে উঠবে।
Sarthak Pandit