পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, "তাদের মেয়েকে নানা ভাবে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছিল মাথাভাঙ্গা যুব তৃণমূল ব্লক সভাপতি কামাল হোসেন। ২৫ তারিখ স্কুল যাওয়ার পর থেকে মেয়ের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল পরিবারের সকলের।" তারপর এই বিষয় নিয়ে মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে ঘটনার তদন্ত নামে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ মোবাইল নাম্বারের লোকেশন দেখে জানতে পারে শিলিগুড়িতে রয়েছেন কামাল হোসেন। তারপর, এদিন মাথাভাঙ্গা থেকে একটি টিম শিলিগুড়িতে গিয়ে একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে কামাল হোসেনকে। পাশাপাশি ওই হোটেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: খুন করে ব্যক্তির দেহ তিন দিন বাড়িতে লুকিয়ে রাখল মেয়ে ও স্ত্রী! কেন? কারণ অবাক করবে
এদিনের এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য শুরু হয় গোটা মাথাভাঙা জুড়ে। কামাল হোসেন বিবাহিত হওয়ার পরও কিভাবে এক শিক্ষিকাকে হোটেল নিয়ে গেল? এই সব বিষয় নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে মাথাভাঙা বাসীকে। এছাড়াও বিভিন্ন বিরোধী শিবির থেকে মাথাভাঙা তৃণমূল যুব ব্লক সভাপতি কামাল হোসেনের যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে প্রসাশনের কাছে।এই গ্রেফতারির বিষয় নিয়ে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা বলেন, 'মাথাভাঙ্গা থেকে একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল অপহরণের। সেই মেয়েটির খোঁজে তদন্ত করতে নেমে কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত চলছে আরও বিভিন্ন বিষয়ের সামনে আসলে পরবর্তীতে জানানো হবে।'
সার্থক পন্ডিত