এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল যোগী, "প্রায় ১০০ বছরের ও বেশি সময় আগে মূল মেলার ও পুজোর সূচনা হয়েছিল ওপার বাংলায়। পরবর্তীতে দেশ বিভাগের পর সেই পুজো ও মেলা উদ্যোক্তাদের একাংশ চলে আসেন এপারে। ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে তাঁরাই পাথরশন গ্রামে তৈরি করেন এই কালী মন্দির।" পুজো ও মেলা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার কর্মকার জানান, "শতাধিক বছর আগে ব্রিটিশ আমলে অর্থাৎ, অবিভক্ত ভারতে (অধুনা বাংলাদেশ) নাকেশ্বরীর মাধাইখাল গ্রামে প্রথম সূচনা হয় এই পুজো ও মেলার। সেখানে এই একই তিথিতে এখনও মায়ের পুজো ও মেলা হয়। এপারে এই মেলার এবার ৭১ বছরে পদার্পণ করল।"
advertisement
আরও পড়ুন: বদলে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সময়সূচি! জেনে নিন টাইম টেবল
আগামী ৮ই এপ্রিল শনিবার এই কালীধামে হবে মায়ের অষ্টহরাকৃত পুজো ও মহাবলিদান। প্রাচীণ প্রথা অনুসারে সেই দিন ভদ্রকালী মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় মোষ, পাঁঠা এবং পায়রা। এখানকার দেবী প্রতিমা হয় বিশালাকার। গত সাত দশক ধরে এই গ্রামে চলছে এই মেলা। মেলায় আলু-পটল থেকে শুরু করে মনিহারি, রকমারি, জামা-কাপড় সব জিনিসপত্রই পাওয়া যায়। এছাড়াও মেলায় বসতে দেখা যায় সার্কাস, নাগরদোলা, সার্কাস। পাশাপাশি, রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ কড়া পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা।
মেলার ও পুজোর সূচনা করতে এসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান,"দিনহাটা মহকুমায় একেবারে সীমান্ত লাগোয়া প্রান্তিক এলাকায় এত বড় একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজো ও মেলার প্রতি গোটা জেলার মানুষের আলাদা একটা আকর্ষণ রয়েছে। জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন। বাইরে থেকে প্রচুর সাধু-সন্ন্যাসীরাও আসেন এই পুজোয়। ইতিমধ্যে মেলায় আসতে শুরু করেছে প্রচুর দোকানপাট এবং নাগরদোলা। বহু মানুষ এই বছরেও মেলার আনন্দে মেতে উঠবেন।"
Sarthak Pandit