বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার বিজয় মেহতার নির্দেশে নিরাপত্তা বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই আসেন স্থানীয় বিএসএফ কর্তারা। ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার জানান, "প্রতিবছরের মতন এ বছরেও ছট পুজোর দিন চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের বিশেষ কড়া নজরদারি থাকছে। যেকোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত থাকব।" ইতিমধ্যেই ছটপুজোর ঘাট সংস্কার ও সাজানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ছট পুজো উপলক্ষে সম্পূর্ণ নদী ঘাট ঘুরে দেখেন মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও অরিজিৎ পাল চৌধুরী, সিআই পূরণ রাই, ওসি রাহুল তালুকদার এছাড়াও তাদের সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত। এছাড়াও তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন ছট পুজো নিয়ে।
advertisement
যেহেতু জায়গাটি একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা তার উপর কোনও কাঁটাতারের বেড়াও নেই এলাকাটিতে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার দিকটি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে যাতে দেখা হয় সেই দাবির কথা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছিলেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, 'সর্বদাই সীমান্ত এলাকায় কঠোর সতর্কতা জারি থাকে। তবে ছট পুজোর কথা মাথায় রেখে বাড়তি সতর্কতা মানা হচ্ছে। যাতে কোন প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।'
চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। তাই ছট পুজোর যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বিষয় নিয়ে মেখলিগঞ্জ থানা সূত্র জানা যায়, "বিএসএফের কড়া নজরদাড়ির পাশাপাশি, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে থাকছে কড়া পুলিশি নজরদারি। মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে যেকোন পরিস্থিতিতে।"
Sarthak Pandit