নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ঘাটিয়াল বলে ডাক দিলেই অন্য পাড় থেকে নৌকা নিয়ে হাজির তিনি। মুখে পান খাওয়া লাল দাঁতের একটা চওড়া হাসি। তবে কোন রাগ নয়, অভিমান নয়। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব মরশুমে তার একই ভূমিকা। প্রশ্ন করতেই অমৃত দাস বললেন, "জীবনের প্রায় ৪০টা বছর এভাবেই মানুষকে নদী পারাপার করিয়েই চলে গেছে। আর যেই কদিন বাঁচব এভাবেই বাঁচতে চাই।’’
advertisement
আরও পড়ুন - ব্রেন ক্যান্সারে ভুগছিলেন, ছেলেবেলা বাংলায় কাটানো অভিনেত্রীর দলজিতের লড়াই শেষ
তবে সংসারে তার স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগেই। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এই নদী পারাপার করিয়েই। বর্তমানে একার সংসার তাঁর। তাই খুব একটা অসুবিধা হয় না সারাদিন এই কাজ করতে।
আরও পড়ুন - এবার কী স্তন দিয়ে মোবাইল চার্জ করছেন! উরফি জাভেদের গলায় লাগানো ইউএসবি, বুকে দুটি মোবাইল
তোর্সা পাড়ের এক বাসিন্দা জানান, "দীর্ঘ দিন ধরেই এই মাঝি নদী পারাপার করছেন এখানে। একটা সময় আমার বাবাকে দেখতাম ওনার নৌকা করেই নদী পারাপার করতে। বর্তমানে আমিও করি। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি একইরকম রয়ে গিয়েছেন। কখনও ওনার নৌকা বন্ধ থাকতে দেখিনা। সকাল ৭টা থেকে শুরু করে সন্ধে পর্যন্ত তার এই নৌকা দিয়ে মানুষেরা পারাপার করেন এখানে। আমাদের খুব সুবিধা হয়। কারণ, ঘুঘুমারি ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে হলে অনেকটা ঘুরে চলাচল করতে হয় আমাদের। এই নৌকা দিয়ে পারাপার করলে সেই সময় অনেকটাই কম লাগে।"
তবে বর্তমানে এই নৌকাই একমাত্র সংসার কোচবিহারের এই ২ নং কালীঘাট এলাকার খেয়া পারাপারের মাঝি অমৃত দাসের।
Sarthak Pandit