সারা বছর খুব একটা কর্মব্যস্ততা চোখে না পড়লেও, দুর্গাপুজোর আগের এই সময়টাতে কর্মব্যস্ততা একদম চরম থাকে বিভিন্ন প্রতিমা শিল্পীদের কারখানায়। সেই ছবির অন্যথায় হলো না কোচবিহারের রাজারহাট এলাকার প্রতিমা শিল্পীদের কারখানাতে। প্রতিমা শিল্পী জয়দেব পাল বলেন, "প্রতিবছর পুজোর আগের এই কয়েকটা দিন কাজের চাপ থাকে প্রচুর। তাই সারাদিন কাজ করার পাশাপাশি রাত্রি জেগেও কাজ করতে হয় আমাদের। একটা সময় আমাদের এখানকার মূর্তি বাইরেও যেত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২টি নতুন পাম্প হাউস পেল নগরবাসী, খুশি সবাই
তবে দু'বছর করোনার কারণে বাইরে মূর্তি যাওয়া বন্ধ রয়েছে। সেকারণে কিছুটা হলেও চাপ কম। তবে কোচবিহারের দুর্গা পুজোর সংখ্যাও যথেষ্ট কম নয়। এই মূর্তির অর্ডার সাপ্লাই করতেও প্রচুর চাপ রয়েছে।" এছাড়া আর একজন প্রতিমা শিল্পী প্রদীপ পাল জানান, "রাতে জেগে কাজ করার ফলে অসুবিধা হয়। তবে তবে আগের দু'বছর করোনার কারণে মূর্তির চাহিদা কম ছিল। তাই এবছর চাপ থাকলেও রাত্রি জেগে কাজ করার একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে।"
আরও পড়ুনঃ ভবানীগঞ্জ বাজারে আগুন! চাঞ্চল্য গোটা এলাকা জুড়ে
পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি তাই সমস্ত মূর্তির কাজ শেষ করার চাপ রয়েছে প্রচুর। এবার কোচবিহার জেলা জুড়ে পুজো বেশ ভালো করেই হতে চলেছে। তাই মূর্তির চাহিদাও রয়েছে বেশি। সেকারণেই এই মূর্তি গড়ার চাপ থাকলেও এর মধ্যে যে আনন্দ রয়েছে। সেই আনন্দ উপভোগ করেন প্রায় প্রত্যেক প্রতিমা শিল্পী।
Sarthak Pandit