তাঁর এক দিনে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি চপ বিক্রি করে চলেছেন। কোচবিহার সদর শহরের মধ্যে এই হরিদার চপের ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এই দোকানের যিনি আসল মালিক ছিলেন তিনি বর্তমানে আর বেঁচে নেই। তাঁর পরিবারের অন্য মানুষেরা এই চপের দোকান করেই রুজি রুটির ব্যবস্থা করে চলেছেন।
advertisement
দোকানের কর্ণধার সরোজ দত্ত জানান, “দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এই চপের দোকান এখানে বসছে। তবে তিনি ২৭ বছর ধরে এই দোকানে কাজ করে চলেছেন। এই দোকান শুরু করেছিলেন তাঁর মামা শ্বশুর। সেই মামা শ্বশুর তাঁকে এই চপ বানানো শিখিয়েছিলেন। এই দোকানের চপের দাম রয়েছে ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত। দারুন স্বাদের চপের আকর্ষণের ফলেই ক্রেতাদের ভিড় জমে এই দোকানের মধ্যে।”
এই দোকানের নিয়মিত খরিদ্দার রিম্পা দাস জানান, “এই চপের কারণে প্রতিদিন আসতে হয় এই দোকানে। তবে এই চপ খাওয়ার পর বেশ ভাল লাগে। সন্ধ্যের সময় যা ভিড় থাকে এই দোকানে। তারফলে রীতিমতো লাইন দিয়ে কিনতে হয় এই এই দোকানের চপ। তবে এই দোকানের চপের স্বাদ আজও পরিবর্তন হয়নি।”
আরেক খরিদ্দার তনুনাথ দাস জানান, “এই চপের দোকানে পাওয়া যায় ভেজিটেবল চপ, মাটন চপ, চিকেন চপ, চিংড়ির চপ, ডিমের চপ এবং মেটের চপ। তবে এই সব কয়টি চপ কিন্তু সাধারণ প্রত্যেকটি মানুষের মুখে লেগে রয়েছে। অনেকেই তো বেশ দূর থেকে আসেন সন্ধ্যের সময় চপের আমেজে মেতে উঠতে।”
তবে দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর ধরে চলছে এই দোকান। এছাড়া এই চপের দোকানে অন্যান্য চপের দোকানের থেকে ভিড় অনেকটাই বেশি থাকে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ব্যস্ততার কারণে এক মুহুর্ত বসার সময় করে উঠতে পারেন না দোকানের কারিগররা। তবে এই ব্যস্ততাতেও তাঁরা দারুন খুশি।
Sarthak Pandit