কোচবিহারের বেশ কিছু পুরনো দোকানে রকমারি মিষ্টি ইতিমধ্যেই বানানো শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বেশ কিছু দোকানে নতুন মিষ্টি বিক্রি শুরুও হয়ে গিয়েছে। ছোট বড় প্রায় প্রত্যেক মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে প্রচুর মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ৯৯.৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর! বলুন তো দেখি ‘রেলস্টেশন’-এর বাংলা কী?
advertisement
কোচবিহারের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী অভিজিৎ বণিক জানান, “বড় উৎসব হল দুর্গা পুজো। তবে আগামীকাল রয়েছে গণেশ চতুর্দশী। ঠিক সেই কারণেই দোকানে এখন অনেক ধরনের মিষ্টি বানানো হয়েছে। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের লাড্ডু বানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও বানানো হয়েছে জনপ্রিয় তালের সন্দেশ এবং মোদক। তবে সমস্ত মিষ্টির দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের একেবারে নাগালের মধ্যে রাখা হয়েছে। যেকোনো পুজোর দিনে ক্রেতারা রীতিমত উপচে পড়ে দোকানের মধ্যে। তাই আগে থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সন্দেশ তৈরি করে রাখা হচ্ছে দোকানের মধ্যে। যাতে ক্রেতাদের দোকান থেকে ঘুরে যেতে না হয়।”
আরও পড়ুন: হঠাৎ বদলে গেল এই ‘বিখ্যাত’ স্টেশনের নাম! আসল কারণ কী? জানলে চমকে যাবেন…
কোচবিহারের আরেক মিষ্টি ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষ জানান, “বেশ কিছু নতুন মিষ্টি নিয়ে আসা হয়েছে দোকানের মধ্যে। তবে পুজো উপলক্ষে আরো বেশ কিছু মিষ্টি তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। তবে সেই সমস্ত মিষ্টি গুলির দামও একেবারে নাগালের মধ্যে রাখা হবে সকলের। তবে বর্তমানে প্রকাণ্ড সাইজের মতিচুর লাড্ডু বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই লাড্ডুর দাম রয়েছে ৫০ টাকা।”
এছাড়া আরেক মিষ্টি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ বণিক, “গণেশ চতুর্দশীর উপলক্ষে বাঙালিরা বেশিরভাগ লাড্ডু পছন্দ করে থাকেন। তাই লাড্ডুর পরিমাণ এখন বেশি রাখা হয়েছে দোকানের মধ্যে। তবে ক্রেতাদের একাংশ মুখিয়ে রয়েছেন নিত্য নতুন স্বাদের রকমারি মিষ্টি কেনার জন্য।” পুজো উপলক্ষ্যে বাজারের মিষ্টি বিক্রেতারা ক্রেতাদের পছন্দের নিত্য নতুন স্বাদের মিষ্টি এবং লাড্ডু তৈরি করতে শুরু করেছেন।
সার্থক পণ্ডিত