সব মিলিয়ে কোচবিহার সদর শহরের মধ্যে এই হরিদার চপের ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এই দোকানের যিনি আসল মালিক ছিলেন তিনি বর্তমানে আর বেঁচে নেই। তবে তার পরিবারের অন্য মানুষেরা বর্তমানে এই চপের দোকান করে নিজেদের রুজি রুটির ব্যবস্থা করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: মালদহে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে, টেনে হিচড়ে যুবককে গণধোলাই... ভাইরাল ভিডিও!
advertisement
এই চপের দোকানে পাওয়া যায় ভেজিটেবল চপ, মাটন চপ, চিকেন চপ, চিংড়ির চপ, ডিমের চপ এবং মেটের চপ। তবে এই সবকটি চপ কিন্তু সাধারণ প্রত্যেকটি মানুষের মুখে লেগে রয়েছে। তাই সন্ধ্যে নামলেও কোচবিহারের মানুষেরা ভিড় জমায় এই দোকানের মধ্যে। অনেকেই তো অনেকটা দূর থেকে সাইকেল চালিয়ে আসেন সন্ধ্যের সময় চপের আমেজে মেতে উঠতে। তবে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে চলতে থাকা এই চপের দোকান এতটাই জনপ্রিয় যে অন্যান্য চপের দোকানের থেকে এই চপের দোকানে ভিড়ের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ব্যস্ততার কারণে কথা বলার সময় করে উঠতে পারেন না দোকানের কারিগররা। তবে এই ব্যস্ততাতেও তারা খুশি। দোকানের মালিক হিরেন দাস বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই চপের দোকান এখানে চলে আসছে। তবে তিনি ২৭ বছর ধরে এই দোকানে কাজ করে চলেছেন। এই দোকান শুরু করেছিলেন তাঁর মামা। সেই মামা তাকে এই চপ বানানো শিখিয়েছিলেন। তাই আজ পর্যন্ত এই চপের মধ্যে সেই প্রথম সময়ের মতোই স্বাদ পাওয়ায় যায়। নিয়মিত এই দোকানের খরিদ্দার দিলীপ কুমার দেবনাথ জানান, "এই চপের কারণে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেল চালিয়ে আসতে হয়। তবে এই চপ খাওয়ার পর সেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। সন্ধ্যের সময় যা ভিড় থাকে ওঁর দোকানে উনি রীতিমত হিমশিম খান তা সামাল দিতে গিয়ে। তবে একটা কথা বলতেই হয় উনি কিন্তু দারুন জনপ্রিয় এই চপের কারণে।"
সার্থক পণ্ডিত