সোমবার মৃত কচ্ছপটির ময়নাতদন্ত হয় কোচবিহারে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে মঙ্গলবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাণেশ্বরের কচ্ছপদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর ব্যস্ততা তুঙ্গে কোচবিহার কুমোরটুলিতে, কী বলছেন মৃৎশিল্পীরা
মাসখানেক আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছিল, কচ্ছপদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ও মৃত্যুর কারণ জানতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে আসা হবে। এমনকি সেই দলটি বাণেশ্বরে গিয়ে কচ্ছপদের নমুনা সংগ্রহও করে। সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। যদিও প্রশাসনের সেই বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহে ছিল বাণেশ্বরে দীর্ঘদিন ধরে কচ্ছপ নিয়ে কাজ করে আসা 'বাণেশ্বর মোহন রক্ষা কমিটি'। তারা প্রথম থেকেই বলে আসছিল, বাণেশ্বরের কচ্ছপদের নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ফলে প্রশাসন যদি কচ্ছপদের মৃত্যু ঠেকাতে বাইরে থেকে কোনও বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে আসে, তবে সেই বিশেষজ্ঞরা যেন তাদের সঙ্গে একবার অন্তত আলোচনা করেন। যদিও জেলা প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি।
advertisement
অভিযোগ উঠেছে, কোচবিহার জেলা প্রশাসন বর্তমানে কচ্ছপদের সুস্থ করে তোলার পরিবর্তে তাদের মৃত্যু লুকোতেই বেশি ব্যস্ত। তবে এই বিষয়ে দেবোত্তর ট্রাস্টের সভাপতি তথা জেলাশাসক পবন কাদিয়ানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সার্থক পণ্ডিত