বৃদ্ধা মহিলা প্রমীলা বর্মন জানান, ‘দীর্ঘ দিন ধরে এই চরম দুর্দশায় দিন কাটছে। বার বার এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালেও কোনও রকম সাহায্য করেনি। সরকারি সহায়তা এখনও পর্যন্ত পাননি তিনি। বর্তমানে তাই ভাঙা ঘরেই কোনও রকমে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। শেষ বয়সে এসে তাঁর ইচ্ছে একটু শান্তিতে জীবন কাটানো।’ এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ হিসেবী বলেন, ‘এই বৃদ্ধার দুই ছেলে ছিল। এক ছেলে জয়পুরে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান। আর এক ছেলে বিয়ের পর বউকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছে। এছাড়া তাঁর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই গোটা বাড়িতে বৃদ্ধাকে একাই থাকতে হয়। ভাঙা ঘরে কোনওরকমে মাথা গুঁজে রয়েছেন তিনি।’
advertisement
আরও পড়ুন-হাজার হাজার টাকা ইলেকট্রিক বিল, মেটাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা স্কুল কর্তৃপক্ষের, কারণটা কী?
আরও পড়ুন-ব্যালট পেপার উদ্ধার হতেই চক্ষু চড়কগাছ, হাতেনাতে ধরা পড়তেই তুমুল শোরগোল
এই বৃদ্ধার চরম দুর্দশার জীবনের দ্রুত অবসান ঘটুক, এই দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারি প্রশাসনের কর্তারাও এখনও পর্যন্ত এই বৃদ্ধার কোনও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি। বৃদ্ধার ভাষায়, ‘শেষ বয়সে এসে একটু নিশ্চিন্তে, একটু শান্তিতে দিন কাটাতে চান তিনি। এই বয়সে এসে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাতে খুবই কষ্ট করতে হয়। আর বয়স বেশি হওয়ার কারণে কেউ তাঁকে কাজও দেন না।’ বর্তমানে তাই এই গোটা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বৃদ্ধাকে কিছু সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হোক। যাতে শেষ বয়সে তিনি একটু শান্তিতে দিন কাটাতে পারেন।
Sarthak Pandit