সোমবার বিশ্বভারতীর চারটি বিভাগের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা সেই পরীক্ষা বয়কট করে পদ্ম ভবন সহ বিভিন্ন ভবনের সামনে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং পরীক্ষা বয়কট করে। তাদের হুঁশিয়ারি, অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে।
সোমবার সকাল থেকেই বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়া এই পড়ুয়াদের আন্দোলনকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকি পড়ুয়াদের তরফ থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দাবি করা হয়, নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আন্দোলনে বাধা দেয়। পড়ুয়াদের দাবি, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার জন্য তারা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আবেদনে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রশিক্ষণ শুরু শৈশবে, যোগচর্চায় জাতীয় স্তরে পুরস্কার কান্দির দেবপর্ণার
পড়ুয়ারা এদিন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে যে সকল যুক্তি দিয়েছে সেগুলি হল
১) রাজ্য তথা দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছে। সুতরাং তারাও অনলাইনে পরীক্ষা দেবে, অফলাইনে নয়।
২) পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়ায় অফলাইন পরীক্ষা তারা মানবে না।
৩) অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভ এবং উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি চলার কারণে অনেক পড়ুয়া ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারছে না।
৪) অনলাইন ক্লাস এবং পিডিএফ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করে অফলাইনে পরীক্ষা মানা যাবে না।
৫) ১৫ দিন আগে হোস্টেল পাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য অফলাইনে পরীক্ষা মানা হবে না।
আরও পড়ুন : ২০১৫ সালে ছাঁটাই, আইনি লড়াই জিতে ৭ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন প্রযুক্তিবিদ!
পড়ুয়াদের দাবি তাদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়া হলে তাদের আন্দোলন জারি থাকবে। এর আগেও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীতে জোরদার আন্দোলন দেখা গিয়েছে। সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে এই আন্দোলন লক্ষ করা যায়।
মাধব দাস