ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের উপরে থাকা এই ঘড়ির সঙ্গে বীরভূমের ইতিহাসের এক অধ্যায় জড়িয়ে রয়েছে। উনিশ শতকের প্রথম দিকে তৎকালীন হেতমপুরের জমিদার পরিবারের রাজকুমার মহিমা নিরঞ্জন চক্রবর্তী জেলা কালেক্টরকে এই ঘড়ি উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন। লন্ডন থেকে আনা হয়েছিল এই ঘড়ি। এই ঘড়ি ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের মাথায় বসানো হয় ১৯০২ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে। শহরের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ঘড়িটি এর আগেও ১৯৭০ সালে বজ্রপাতে খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিশু হত্যার পর শ্মশানের নিস্তব্ধতা শান্তিনিকেতনের মোলডাঙ্গায়
পরে ১৯৯৫ সালে সিউড়ি শহরের একজন মেকানিক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঘড়িটিকে পুনরায় চালু করেন। তারপর থেকে তিনিই দেখভাল করতেন ঘড়িটির। কিন্তু ২০১৬ সালে ঘড়িটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালের পর থেকে এই ঘড়িটি এখনো পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ছয় বছর ধরে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। একসময় এই ঘড়ির আওয়াজে সিউড়ি শহরের বহু মানুষের ঘুম ভাঙতো। কিন্তু বর্তমানে দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘড়ি স্তব্ধ হয়ে থাকার ফলে অনেকেই ঐতিহ্য ভুলতে বসেছেন। যদিও সম্প্রতি এই হেরিটেজ তকমা পাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী এই ঘড়িতে নিয়ে ফের আসার আলো জাগতে শুরু করেছে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ সাঁইথিয়ায় ডাকাতির ঘটনার তদন্তে সাফল্য, পুলিশের জালে পাঁচ ডাকাত
ঘড়িটি আজ হেরিটেজ তকমা পেলেও তার স্তব্ধ হয়ে থাকার কারণে মন খারাপ প্রবীণ নাগরিকদের। তারা চান হেরিটেজ তকমা যেমন পেয়েছে ঠিক তেমনি এই ঘড়িটি দ্রুত ঠিক করার বন্দোবস্ত করা হোক প্রশাসনিক ভাবে। অন্যদিকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা সরাসরি এই ঘড়ি নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রশাসনিকভাবে এই ঘড়িটিকে দ্রুত সারানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
Madhab Das