রামপুরহাট ও চাতরা স্টেশনের মাঝে তৃতীয় লাইনকাজের জন্য গত ১৭ আগষ্ট থেকে ২৯ দিন ব্যাপী বহু এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। দুরপাল্লার ট্রেনগুলি রুট পরিবর্তন করে চলাচল করে। ট্রেন বিভ্রাটের জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় মানুষকে। ফের একই অবস্থার সম্মখীন হতে চলেছেন ট্রেন যাত্রীরা। এছাড়া কুলিক, কাঞ্চনজঙ্ঘা, গৌড়, উত্তরবঙ্গ, দার্জিলিং মেল, পদাতিক, বিবেক, কাজিরাঙা, হামসফর, কর্মভূমি, সরাইঘাট, তেভাগা, সহ ৪৪ জোড়া মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে রামপুরহাট থেকে সাহেবগঞ্জ, বারহারোয়া, আজিমগঞ্জ রুটে ১৩ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যার জেরে চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন এই রুটের যাত্রীরা। বেড়ানোর মরশুমে এই ট্রেন বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে।
advertisement
আরও পড়ুন- আত্মঘাতী প্রেমিকা! হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে গ্রেফতার ‘পুষ্পা’-খ্যাত অভিনেতা, কে তিনি?
আরও পড়ুন- দুঃসংবাদ! ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী, শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত
একইভাবে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যবসায়ীক কাজে নিত্যদিন কলকাতা যান এই এলাকার মানুষ। তাঁরাও ফের বিপাকে পড়তে চলেছেন। ডিসেম্বেরের এই সময় গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি বাতিল থাকায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে জানান তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়। একইভাবে ফের মাথায় হাত পড়েছে সেখানকার ফুলচাষী, লজ ও হোটেল ব্যবসায়ীদের। এর আগে টানা লকডাউন ও পরে ঘন ঘন রেল ব্লকের ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা।১৮ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে পরিবার নিয়ে পুরী বেড়াতে যাবেন রামপুরহাটের অর্নিবান ঘোষ। তিনি বলেন, রামপুরহাট থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য কুলিক এক্সপ্রেসে আগাম রিজার্ভেশন করে রেখেছি। কিন্তু কুলিক বাতিল। অন্য ট্রেনেও সিট খালি নেই। এখন কী যে করি ভেবে পাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত ঠিক একইভাবে আগে পুজোর সময়ও একইভাবে প্রায় একমাস ব্লক ছিল রেল। রেল হঠাৎ করে যেভাবে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রুট বন্ধ করল যার ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন আগে থেকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য রিজার্ভেসন করে রেখেছিলেন এবং বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন তারা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এই ঘটনায়।
সৌভিক রায়