তবে এই আবাস যোজনা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে, এবার সেই সকল অভিযোগ যাতে না ওঠে তার জন্য নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। রাজ্যের মুখ্য সচিব ইতিমধ্যেই যাতে কোথাও কোনো ত্রুটি না থাকে তার জন্য ১৫ দফা নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি', মহিলার উদ্দেশ্যে হঠাৎ মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
advertisement
রাজ্যের মুখ্য সচিব যে ১৫ দফা নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশের মূল লক্ষ্য হল ত্রুটিপূর্ণ উপভোক্তাদের নাম তুলে ধরা। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী সঠিক উপভোক্তা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। খতিয়ে দেখার এই কাজে জেলাশাসকদেরও দুই শতাংশ কাজ করতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়কে খোদ সার্ভে করতে দেখা যায়। এদিন তিনি পৌঁছে যান সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের চোরমুড়া গ্রামে। সেখানে তিনি পৌঁছে উপভোক্তাদের তালিকা অনুযায়ী পায়ে হেঁটে এলাকা ঘুরে দেখেন। আগামী দিনেও এইভাবে হঠাৎ কোন অঞ্চলে পৌঁছে যাবেন জেলাশাসক বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচকে চ্য়ালেঞ্জ, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন আইনজীবী
জেলাশাসক বিধান রায় উপভোক্তাদের একাধিক বাড়ি ঘুরে দেখার পর ওই গ্রামের যে সকল উপভোক্তাদের নাম তালিকায় এসেছে তাদের নিয়ে সন্তুষ্ট। তিনি জানান, মুখ্য সচিবের নির্দেশে তারা এই সার্ভে করার কাজে নেমেছেন এবং এটিকে তারা সুপার চেকিং হিসাবে মনে করছেন। যাতে এই প্রকল্পে যারা বাড়ি পাচ্ছেন তাদের নিয়ে কোনো রকম ত্রুটি না থাকে তার জন্য এই সার্ভে করা হচ্ছে। এদিন আবাস যোজনা প্রকল্পের সার্ভে করতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে জেলাশাসক বিধান রায় এলাকার মানুষদের থেকে অন্যান্য সুবিধা অসুবিধাও শোনেন।