আজ ৭ পৌষ চিরাচরিত প্রথা মেনে শান্তিনিকেতনে ছাতিমতলায় পালন করা হল পৌষ উৎসব। প্রথমে গৌর প্রাঙ্গনে ভোর সাড়ে ৫ টার সময় বৈতালিক হয়। পরে সকাল ৬ টায় শান্তিনিকেতন গৃহে সানাই বাজানো হয়। তারপর সকাল ৭:৩০ এ ছাতিমতলায় উপাসনা হয়।
আরও পড়ুন: বেঘোরে প্রাণ গেল সিভিক ভলেন্টিয়ারের! বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় সব শেষ
advertisement
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক-সহ বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী থেকে শুরু করে পড়ুয়া অধ্যাপক অধ্যাপিকারাও। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ-সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬ টায় উদয়নবাড়ি ও ছাতিমতলায় আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত সকালেই অগ্নিকাণ্ড! অকেজো হোটেলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, চাঞ্চল্য এলাকায়
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী থাকাকালীন ২০১৯ সালে শেষবারের মতো পূর্বপল্লীর মাঠে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এর পর করোনা পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে পৌষ মেলা বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর পরেই বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
তবে কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই আশার প্রদীপ জ্বলেছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই মনে করেছিল নতুন উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক আসার পর পুরনো ছন্দে পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে।
তবে এই নিয়ে অনেক বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কম সময়ের মধ্যে এত বড় মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তাই বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবারের মেলার আয়োজন করেনি বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পরিবর্তে মেলার আয়োজন করেছেন বীরভূম জেলা প্রশাসন। যেহেতু ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার মাঠে বিকল্প পৌষ মেলা আয়োজন করেছে তাই এই পাঁচ দিন কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে আশাবাদী বীরভূম জেলা প্রশাসন।
সৌভিক রায়