তবে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি নিকটবর্তী পুকুরঘাট, নদী সবকিছু খুঁজে দেখা হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে খোঁজ চালানো হলেও ওই শিশুর কোনরকম হদিস না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে স্নিফার ডগ নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তারপরেও কোনরকম খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই শিশুর। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এই ঘটনার পর বিশেষ টিম তৈরি করে লাগাতার তল্লাশি চালাতে শুরু করে। তবে সোমবার পেরিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুর বেলা প্রায় ৫২ ঘণ্টা পর ওই শিশুর খোঁজ পাওয়া গেল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ একই দিনে সিউড়িতে তিন যুবকের রহস্য মৃত্যু! উত্তপ্ত সিউড়ি থানা এলাকা
ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হল ঠিক তার বাড়ির পাশের ছাদ থেকে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর বেলা ওই মহিলার বাড়ির টিনের ছাদে বস্তাবন্দী অবস্থায় পাওয়া যায় শিবমের দেহ। ঘটনার পরই চরম উত্তেজনা ছড়াই এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন এবং ভাঙচুর করেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলেও উত্তেজিত জনতাকে আয়ত্তে আনা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের কাছে।
আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাওয়া ১৪৫টি মোবাইল উদ্ধার, মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মোলডাঙ্গা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই শিশুকে খুন করে দেহ লোপাট করার জন্য এইভাবে বস্তাবন্দী করে তুলে রাখা হয়েছিল। যদিও পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে বাড়ি থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়ির সঙ্গে তাদের বিবাদ ছিল। এখন সেই বিবাদের কারণেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা বা এই ঘটনার পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে এই নৃশংস কাণ্ডের ঘটনায় এখন মোলডাঙ্গা জ্বলছে।
Madhab Das