আরও পড়ুন: বেপরোয়া লরির ধাক্কায় শেষ হয়ে গেল যুবক-যুবতীর স্বপ্ন
জানা যায়, গোয়ালপাড়া গ্রামের বলভদ্র কালী অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ। এই গ্রামের পাশ দিয়ে আপন মনে বয়ে চলেছে কোপাই নদী। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এই কোপাই নদীর ধারে একটি বিশাল শেওড়া গাছ ছিল। ওই গাছের তলাতেই সাধনা করতেন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী। পরবর্তীতে ঐ তান্ত্রিক নিজের নাম অনুসারে এই কালীপুজো শুরু করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন বলভদ্র কালী। গ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা যায়, বলভদ্র তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই পুজোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন গ্রামের কাশীনাথ ভট্টাচার্যের হাতে। কিন্তু কাশীনাথবাবুর আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তিনি এই পুজোর আয়োজন করতে সাহস পাননি। তখন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী তাঁকে অভয় দেন। পরে এই কালীপুজো মহা সমারহে আয়োজিত হয়।
advertisement
এই পুজোর জন্য গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা থাকুমনি বন্দোপাধ্যায় তাঁর নিজের ৯ বিঘা জমি ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
পরবর্তীকালে এই বলভদ্র কালীপুজোটি কোপাই নদীর তীর থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে গোয়ালপাড়া গ্রামের কেন্দ্রস্থল বটতলায় স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক পুজো গ্রামের কালিদাস সরকারের দেওয়া জমিতে হয়ে আসছে। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা জানান, বলভদ্র গোস্বামীর শেষ ইচ্ছে ছিল ১০৮ টি মড়ার খুলির নিচে কালীপুজোর জায়গাতেই যেন তাঁর দেহ সমাধিস্ত করা হয়। তাঁর নির্দেশ মতো আজও কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এই পুজো হয়ে আসছে।
সৌভিক রায়