মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা যাচ্ছে, ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুড়িষা গ্রামের ডালিয়া বিবির (১৮) সঙ্গে রামপুরহাটের আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। কিন্তু বর্তমান আইন অনুযায়ী মেয়ের বয়স ২১ বছর না হওয়ায় শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পরিবর্তে বাপের বাড়িতেই থেকে যান ডালিয়া। বিয়ের পর তিনদিন আনোয়ার হোসেন ঘুরিষা গ্রামে ছিলেন। তারপর আনোয়ার হোসেন নিজের বাড়িতে ফিরে গেলে সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সোমবার রাতে অ্যাসিড খান ডালিয়া। ঘটনার পর তাকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
advertisement
আরও পড়ুন West Midnapore : বিয়ে করতেই হবে! এমন দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় প্রেমিকা
কিন্তু কেন এইভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ডালিয়া? এর পরিপ্রেক্ষিতে মৃত গৃহবধূর দিদি নুমেনা বিবির অভিযোগ, "বিয়ের পর বোনের স্বামী বাড়ি ফিরে গেলে তাকে আমাদেরই গ্রামের কয়েকজন আমার বোন সম্পর্কে নানা কথা শোনান। আমার বোনের নাকি ছয়বার বিয়ে হয়েছে, এ সব কথা শোনানো হয়। এই সব কথা শোনার পর আনোয়ার ডালিয়াকে ফোন করে জানান তাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাবেন না। সেই অপবাদ শুনেই এমন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ডালিয়া।"
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে তারা সম্পূর্ণভাবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। অপবাদ রটানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেও তারা জানিয়েছেন, ওই পরিবারের মহিলাদের বারবার বিয়ে করার রীতি রয়েছে। বিয়ে করে টাকা রোজগার করা হয়, এমন অভিযোগ উঠেছে পরিবারের বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন Crime News: রাতের অন্ধকারে সেগুন কাঠ পাচার চক্র পর্দা ফাঁস করল কাস্টমস আধিকারিকরা
মৃত গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইলামবাজার থানায় একটি অভিযোগ জানিয়েছেন৷ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের শাস্তির পাশাপাশি ডালিয়ার স্বামী আনোয়ারের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
Madhab Das