এছাড়াও অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের। শুধু তাই নয় এখানেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ বায়নের। এর পাশাপাশি এই ব্যাংকে আমানত রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়-স্বজনদের। সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রত মন্ডলকে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করার পর এই ব্যাংকের নথিপত্র সংগ্রহ করতে অন্ততপক্ষে চারবার হানা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলে ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নিয়োগ, জানুন বিশদে
advertisement
এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের আধিকারিকদের একাধিকবার বোলপুরের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়। এছাড়াও এই ব্যাংকের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। গরু পাচার কাণ্ডে এমন তদন্ত চলাকালীন ব্যাংকে আগুন লাগার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি নথিপত্র নষ্ট করে দেওয়ার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে? নাকি অন্য কোন কারণেই আগুন লেগেছে?
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে আশা কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দা এমডি মহসিন জানিয়েছেন, "ব্যাংক খোলার পর দুপুর ১২টা নাগাদ দেখতে পাই কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে এলাকা। জানতে পারি ব্যাংকে আগুন লেগেছে। কিন্তু লক্ষ্য নিয়ে বিষয় হল ব্যাংকের কর্মীরা যেভাবে ধীরে সুস্থে বাইরে বেরিয়ে আসছিলেন তা নিয়েই। কারণ হঠাৎ করে আগুন লাগলে সবার মধ্যে তাড়াহুড়ো ভাব থাকতো। সেই ভাব কারো মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়নি। এর পাশাপাশি এই ব্যাংক থেকে দমকল বাহিনীর অফিস দু'মিনিটের রাস্তা। কিন্তু তারাও আসতে এত দেরি করল কিভাবে? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে নথিপত্র নষ্ট করে দেওয়ার জন্যই এই আগুন নয় তো?"
অন্যদিকে এই বিষয়ে ব্যাংকের কর্মী এবং আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে তারা কোনোভাবেই কিছু উত্তর দিতে চাননি। তাদের বক্তব্য একটাই, এই বিষয়ে তাদের বলার কোন ক্ষমতা বা অধিকার নেই।
মাধব দাস