আরও পড়ুন: উমার গোটা পরিবারটাই পাটের তৈরি! জেলার পুজোয় বিরাট চমক
থিমের মণ্ডপ এখন শুধুমাত্র কলকাতায় সীমাবদ্ধ নয়। তার আশেপাশের শহরতলির গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চলেও তাক লাগানো থিমের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। ঠিক সেই পথেই হেঁটেছে বীরভূমের মল্লারপুরের সুহৃদ সংঘ। তাদের লিলিপুটের দেশ থিম ইতিমধ্যেই বাচ্চাদের মন কেড়ে নিয়েছে। এই ভাবনার মূল উদ্দেশ্য মানবিক নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা। আজও সমাজে কালো কিংবা বেঁটে মানুষ দেখলে অনেকেই তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু আমরা সকলেই মানুষ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সেই মেলবন্ধন ফিরিয়ে নিয়ে আসাটাই এই ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য।
advertisement
কিন্তু কী এই লিলিপুটের দেশ! জোনাথান সুইফটের বই গালিভার্স ট্রাভেলসে বেঁটে-খাটো মানুষদের পরিচয় পাওয়া যায়। জাহাজডুবির পর ঢেউয়ে ভেসে লিলিপুট নামের একটি দ্বীপে গিয়ে ওঠেন লেমুয়েল গালিভার। সেখানে তাঁর দেখা হয় লিলিপুটের বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁদের উচ্চতা ১৫ সেন্টিমিটারের বেশি নয়। সুইফটের লিলিপুট রাজ্য একটা কল্পনা হলেও এর সঙ্গে তুলনীয় একটা গ্রাম ইরানের পূর্বাঞ্চলে আজও দেখা যায়। গ্রামটির নাম মাখুনিক। ১৫ শো বছরের পুরনো এ গ্রামটি আফগানিস্তান-ইরান সীমান্ত থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের আড়ালে অবস্থিত। ১০০ বছর আগেও মাখুনিক গ্রামের অধিবাসীরা উচ্চতায় মাত্র ১ মিটারের মতো ছিলেন (প্রায় ৩ ফিট)। ইরানিদের গড় উচ্চতার চেয়ে এরা প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার খাটো।
এই বছর সুহৃদ সংঘের পুজো ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। লিলিপুট দেশ থিমে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলতে পুজোর জন্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা বাজেট রাখা হয়েছে। অন্যান্য বারোয়ারির মতোই এখানে দুর্গাপুজো হয় এখানে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে দ্বাদশীর দিন।।
সৌভিক রায়