ধান বিক্রি করতে আসা চাষী জাকির মল্লিক জানিয়েছেন, এই কিষাণমন্ডিতে ওজন করার জন্য যে সরকারি মেশিন রয়েছে সেই সরকারি মেশিনে মিল মালিকের তরফ থেকে ধান ওজন করা হচ্ছে না। পরিবর্তে ওজন করা হচ্ছে তারা যে মেশিন এনেছেন সেই মেশিনে। সরকারি মেশিনে ওজন না করে মিলের তরফ থেকে যে মেশিন আনা হয়েছে তাতে ওজন করার পর দেখা যাচ্ছে চাষীদের প্রতি কুইন্টালে নয় কেজি করে ধান বেশি দিতে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কেন লকডাউনে বন্ধ হওয়া সব ট্রেন এখনও চালু হল না! মুখ খুললেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার
তাদের অভিযোগ, দিনের বেলায় এইভাবে চাষীদের থেকে ধান চুরি করছেন মিল মালিকরা। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাষিরা উত্তেজিত হয়ে কিষাণ মান্ডিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখান। এর পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, কিষাণ মান্ডিতে যে সরকারিভাবে ওজন করার মেশিন রয়েছে সেই মেশিনেই ওজন করে মিল মালিকদের ধান নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ যুগ যুগ আগে আদিবাসীরা কোন কোন জিনিসপত্র ব্যবহার করতেন? দেখা মিলবে এই জায়গায়
এইভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রে কারচুপি করার অভিযোগ তোলা হয় মহাবীর রাইস মিলের বিরুদ্ধে। যদিও ওই রাইস মিলের কর্মচারী ভবানী প্রসন্ন অধিকারী জানিয়েছেন, কিষাণ মান্ডিতে যে ওজন করার মেশিন রয়েছে সেটি খারাপ। তারা যে মেশিনটি এনেছেন সেটি ঠিক। তারা সরকারি নিয়ম মেনেই ধান কিনছেন এবং ধানের গুণগত মান অনুযায়ী চাষীদের কাছ থেকে বাড়তি ধার নেওয়া হচ্ছে।
Madhab Das