কিন্তু সরকারের তরফ থেকে তারা যে পরিমাণ টাকা পান সেই টাকায় তাদের বাড়ি তৈরি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই অর্থ নির্মিত বাড়ির কারণে তারা সেখানে না পারছেন বসবাস করতে না পারছেন অন্য কিছু করতে। এই ৭০ টি পরিবারের মধ্যে আবার বেশ কিছু পরিবার আরও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ সরকারি নিয়ম অনুসারে বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার জন্য জায়গা থাকা প্রয়োজন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সব মহলের স্বস্তি! সিউড়ি ডিপো থেকে চলাচল শুরু করল বাস
কিন্তু অনেকের বাড়তি জায়গা না থাকার ফলে নিজেদের আগের বাড়ি ভেঙে নতুন করে সরকারি প্রকল্পের টাকায় বাড়ি তৈরি করা শুরু করেন। কিন্তু সেই বাড়ি সম্পূর্ণ না হওয়ায় পুরাতন বাড়িও গেছে আবার নতুন বাড়িও হয়নি। এই বিষয়ে সম্প্রতি তারা পঞ্চায়েতে গিয়ে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয়, এখন ওই এলাকা আর তাদের পঞ্চায়েত ভুক্ত নয়। তা পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। ফলে তারা এখন আর কিছু করতে পারবেন না। অন্যদিকে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ জানিয়েছেন, এতদিন ধরে ওই বাড়িগুলি তৈরি হয়নি সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দায়িত্ব থেকে যায় পঞ্চায়েতের।
আরও পড়ুনঃ নতুন ১৩টি পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখে নিন তালিকা...
তবে এখন যেহেতু তারা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছেন তাই ধাপে ধাপে তাদের এই অসুবিধা দূর করার জন্য পৌরসভার তরফ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুপ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানিয়েছেন, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী তারা গীতাঞ্জলি প্রকল্পের বাড়ির টাকা পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। এখন তারা যদি সেই টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি না করেন তার জন্য দায়ী পঞ্চায়েত নয়। যেমন প্রকল্প সেই রকম বাড়ি তাদের করা উচিত ছিল।
Madhab Das