এমন ঘটনাটি যে শিক্ষকের সঙ্গে ঘটেছে তিনি হলেন রামপুরহাটের সুন্দিপুরের বাসিন্দা তথা দাদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মির ইয়ারবাস ওরফে কাটায় মাস্টারের ক্ষেত্রে। তিনি একটি ভৌত বিজ্ঞানের বই অর্ডার দিয়েছিলেন এবং সেই বইটি তার বাড়িতে আসার কথা ছিল। কবে সেই বই তার বাড়িতে পৌঁছাবে তা দেখার জন্য তিনি অর্ডার ট্র্যাকিং দেখতে যান। ইতিমধ্যে একজন ফোন করেন এবং তিনি নিজেকে ওই ডেলিভারি সংস্থার কর্মী হিসেবে দাবি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ডিমের দাম, কিন্তু কেন? কারণ শুনলে মাথায় হাত দিতে হবে!
শিক্ষক মির ইয়ারবাস জানিয়েছেন, যিনি ফোন করেছিলেন তিনি ডেলিভারি সংস্থার কর্মী হিসেবে নিজেকে দাবি করেছিলেন এবং বলেছিলেন, বইটি ভুলবশত অন্য ঠিকানায় চলে গিয়েছে এবং সেখান থেকে পুনরায় তার ঠিকানায় আনার জন্য ছয় টাকা দিতে হবে। প্রথমে ওই শিক্ষক ডেলিভারি বয়কে সেই টাকা দিয়ে দেবেন বলে জানালে ডেলিভারি সংস্থার নাম করে ফোন করা ওই ব্যক্তি দাবি করেন তাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। অনলাইনে পেমেন্ট করে দেওয়া হলে সেই বইটি খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে। এরপরই ওই শিক্ষক ওই ব্যক্তির কথা অনুযায়ী অনলাইনে ছয় টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু পেমেন্ট করার পর ১ ডিসেম্বর দেখা যায় তার মোবাইলে মেসেজ আছে অ্যাকাউন্ট থেকে ৯২ হাজার ৯০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিষেক vs শুভেন্দু: ফুটেজ খেতে আমার নাম, দাবি অভিষেকের! পাল্টা 'নাবালক' কটাক্ষ শুভেন্দুর
অ্যাকাউন্টে ছিল ৯২ হাজার ৯০৮ টাকা। তিনি আগেই ছয় টাকা পেমেন্ট করেছিলেন, তারপরে এইভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার পর পড়ে থাকলেও মাত্র দু'টাকা। এমন ঘটনায় তিনি স্বাভাবিকভাবে হতভম্ব হয়ে যান এবং কোন কিছু খুঁজে না কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে তিনি সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন। এইভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাওয়া টাকা পুনরুদ্ধারের দাবি তুলেছেন তিনি।
মাধব দাস