আরও পড়ুন Anubrata Mondal: ১৩১ দিন পর বীরভূমে পা রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল
ইডি আধিকারিকরা যখন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেন, তখন হঠাৎ জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তারই দলের এক কর্মী অভিযোগ দায়ের করেন দুবরাজপুর থানায়। জনৈক ওই তৃণমূল কর্মী হলেন কুখুটিয়া গ্রামের শিব ঠাকুর। ওই কর্মীকে নাকি অনুব্রত মণ্ডল খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩২৩, ৩২৫, ৩৬০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর আদালতে আনা হয়। পুলিশের তরফ থেকে তাকে আদালতে পেশ করার পাশাপাশি ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। যদিও বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন Jalpaiguri News: জলপাইগুড়ির মালবাজারে মৌমাছির আক্রমণে হাসপাতালেই ভর্তি হতে হল ২ পড়ুয়াকে
তবে প্রশ্ন হল কেন হঠাৎ করে ওই তৃণমূল কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় এমন অভিযোগ করলেন? তাহলে কী পরিকল্পিতভাবে এই অভিযোগ করা হয়েছে যাতে করে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারী তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, তিনি নাকি একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে চেয়েছিলেন এবং সেই সময় তাকে দুবরাজপুরে ডেকে অনুব্রত মণ্ডল খুনের হুমকি দেন। তিনি জানিয়েছেন গতকালই তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইডির দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। এই মামলা করা হয় জুলাই মাসে। ইডি চাইলে উচ্চ আদালতে যেতে পারে কারণ তাদের কাছে অনেক ক্ষমতা রয়েছে।
তবে আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় এবং অভিযোগকারী ব্যক্তির অভিযোগ করার দিনের বক্তব্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। কারণ মলয় মুখোপাধ্যায় বলছেন, জুলাই মাসে অভিযোগ করা হয়, অথচ অভিযোগকারী ব্যক্তি বলছেন গতকাল অর্থাৎ সোমবার অভিযোগ করা হয়। যাই হোক আপাতত অনুব্রত মণ্ডলকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর তাকে আনা হয় দুবরাজপুর থানায়। সেখানে তিনি সিসিটিভি ক্যামেরা সহ কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকবেন।
Madhab Das