ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত অশ্বিনী উপাধ্যায় লক্ষ্য করেন এই ব্যক্তিকে এবং খবর দেন দাদা সুকুমার উপাধ্যায় কে। তারপর দুজনের যৌথ অনুসন্ধানে জানা যায় যে কৈলাসের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানার অন্তর্গত একটি এলাকায়। নিজের বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ভবঘুরের মত দিন যাপন করতে দেখে প্রশ্ন আসে মনে।
আরও পড়ুন: নববর্ষের আগে দুর্দান্ত উপহার দিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ! দেখলে চমকে যাবেন আপনিও
advertisement
তারপরই সত্য উদঘাটনের জন্য কৈলাসের ঠিকানায় খোঁজ নিলে জানা যায় গত বছর দুর্গা পূজার সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন কৈলাস। বহু চেষ্টা করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। থানায় নিখোঁজের ডাইরি করা হয়েছিল। প্রায় ছয় থেকে সাত মাস পর বাঁকুড়ার কাপিষ্ঠা গ্রামের বাসিন্দা চন্দননগর কমিশনারেটে কর্মরত সুকুমার উপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরে গেলেন কৈলাস চন্দ্র দাস।
রবিবার পরিবারের লোকের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় কৈলাস চন্দ্র দাস কে। তিনি জানান হেঁটে হেঁটেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা। যদিও বাড়ি থেকে চলে আসার কারণ এখনও জানা যায়নি। বাঁকুড়ার বাসিন্দা সুকুমার উপাধ্যায়ের আগেও বহু নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দিয়েছেন তাদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার দুই এলাকায় একই সঙ্গে অগ্নিসংযোগ? 'কাকতালীয়' না ষড়যন্ত্র? রহস্য বাড়ছে
চন্দননগর কমিশনারেটের কর্মরত সুকুমার উপাধ্যায়ের হাত ধরেই রবিবার বাড়ি ফিরে গেল কৈলাস চন্দ্র দাস। কৈলাসের পরিবার থেকে এসেছিলেন তার বড় বৌদি পূর্ণিমা দাস। অনুসন্ধান থেকে শুরু করে পরিবারের লোককে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসা এবং পাশে থেকে নিখোঁজ কৈলাসকে তার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে বাঁকুড়ার সুকুমার উপাধ্যায়।
এরকম ঘটনাই প্রমাণ করে মানবিকতা আজও জীবিত রয়েছে পৃথিবীতে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া জেলা। কৈলাসের খোঁজ করেছিলেন পুলিশ থেকে শুরু করে তার পরিবারের লোকজন। তবুও খোঁজ মেলেনি তার। অবশেষে দীর্ঘ ছয় থেকে সাত মাস পর বাড়ি ফিরল কৈলাস। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালী থানার অন্তর্গত কালিনগর সর্দার পাড়ার দাস পরিবারে।
Nilanjan Banerjee