গত দুমাস ধরে মাদারিহাট এলাকায় রাত নামতেই হাতির হানায় রাতের ঘুম উবেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপরই গত জুনমাসের ১০ তারিখে চল্লিশটি হাতির একটি দল গ্ৰামে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। নষ্ট করে দেয় কয়েক বিঘা জমির ফসল। মনের দুঃখে অবশিষ্ট জমির ফসল ও কেটে ফেলন জমির মালিকরা। ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের মেঘনাদ সাহা নগর এলাকায়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল থেকে চল্লিশটি হাতির একটি দল মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরে প্রবেশ করে। হাতির দলটি এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক বিঘা জমির ভুট্টা ক্ষতি করে। হাতির দলটি এলাকায় তাণ্ডব চালায়। তারপর আবার জঙ্গলে ফিরে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দমনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শুরু সেল্ফ ডিফেন্স কোর্স 'শক্তি'
মনের দুঃখে জমির মালিকরা অবশিষ্ট ক্ষেতে যা ফসল ছিল তা কেটে ফেলেন। এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নেপাল দাস জানান,\"যা ছিল ফসল সব শেষ। তাই দুঃখে অবশিষ্ট ফসল কেটে দিচ্ছি। কেননা এই অল্প ফসলটুকো থাকলে পুনরায় হাতি এসে হানা দেবে। তাই ফসল কেটে ফেলছি। প্রতি রাতে বুনো হাতির দল গ্ৰামে প্রবেশ করে। আর এই দলে ২০ টি অথবা ৫০ টি বুনো হাতি গ্ৰামে প্রবেশ করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় । বুনো হাতির হানায় এলাকার সবাই আতঙ্কিত। বাসিন্দারা জানান এবছর হাতির হানা বেশি পরিমাণে হচ্ছে পূর্বে ও হাতির হানা হত কিন্ত এত বেশি পরিমাণে হত না। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ রাতে গ্ৰামে বুনো হাতির দল প্রবেশ করলেও বনদফতরের দেখা মেলে না । বুনো হাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার পর সকালে বনকর্মীরা আসে এলাকায় পরিদর্শন করতে।
আরও পড়ুনঃ রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছাড়া হল হোয়াইট ব্যাক্ড শকুন
সেসময় সব শেষ হয়ে যায়। যদিও এবিষয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে কেউ মন্তব্য করেননি। জুন মাসের শেষের দিকেই হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে বীরপাড়ার এক মহিলার। আহত হয়েছিলেন তার স্বামী ও সন্তানেরা। নিরাপত্তার অভাববোধ করে বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল এলাকাবাসী ও মৃতার পরিজনেরা। হাতির হানা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদারিহাটের এলাকাবাসীদের কাছে। বনদফতরের কর্মীদের টহলের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না তারা। সার্চ লাইট ও বাজি প্রদানের আবেদন তারা রেখেছেন বনদফতরের কাছে।
Annanya Dey






