Alipurduar: রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছাড়া হল হোয়াইট ব্যাক্ড শকুন

Last Updated:

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ভারতের আকাশে হারিয়ে যাওয়া দশটি 'হোয়াইট ব্যাক্ড' প্রজাতির শকুনকে ছাড়া হল।

#আলিপুরদুয়ারঃ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ভারতের আকাশে হারিয়ে যাওয়া দশটি 'হোয়াইট ব্যাক্ড' প্রজাতির শকুনকে ছাড়া হল। এরা প্রত্যেকেই রাজাভাতখাওয়ায় কৃত্রিম উপায়ে জন্ম নেওয়া শকুন। সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আরও তিনটি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনককে। ২০২১ সালের পর এই নিয়ে পর পর দু'বছরে মোট কুড়িটি শকুনকে প্রকৃতিতে ছাড়লো বনদফতর। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ সংরক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার হোয়াইব্যাক্ড প্রজাতির শকুনকে বিপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রতিটি হোয়াইটব্যাক্ড শকুনের ডানায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে আমেরিকার থেকে আমদানি করা প্ল্যাটফর্ম ট্রান্সমিশন টার্মিনাল ডিভাইস। ওই বিশেষ প্রযুক্তির ডিভাইসটি ওজনে অত্যন্ত হালকা ও সৌরশক্তি চালিত। এর ফলে তা বহু বছর ধরে সক্রিয় থাকে। ওই ডিভাইসের পাঠানো সংকেতের মাধ্যমেই দৈনিক ওই শকুন গুলির উপর নজরদারি চালায় বনদফতর। তাতে স্পষ্ট হয় তাদের সাম্প্রতিক অবস্থান।
২০২১ সালে যে দশটি হোয়াইট ব্যাক্ডকে ছাড়া হয়েছিল তারা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে বলে দাবি বনকর্তাদের। বর্তমানে তারা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে দু'শো কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থান করছে। ২০০২ সালে পথ চলা শুরু হ য় রাজ্যের একমাত্র শকুন প্রজনন কেন্দ্র রাজাভাতখাওয়াতে। বর্তমানে আবাসিক শকুনের সংখ্যা ১৪৬টি। যার মধ্যে হিমালয়ান গ্রিফন, লংবিল্ড, হোয়াইটব্যাক্ড ও স্লেনডারবিল্ড প্রজাতির শকুন রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালচিনি ব্লকে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, তৎপর প্রশাসন
প্রকৃতি প্রেমীদের মতে, পঁয়ত্রিশ বছর আগেও যেখানে দেশের আকাশে প্রায় চার কোটি শকুন ছিল। তা এখন কমে মাত্র কুড়ি হাজারে ঠেকেছে।গবাদি পশুদের ব্যথা উপশমের ডাইক্লোফেনাক, এ্যাসিটোফেনাক, নিমুসোলাইড ও কিটোপ্রফিনের মত ওষুধ প্রয়োগের কারনে ওই গবাদি পশুদের মৃতদেহ খাওয়ার দরুন কিডনি ও লিভার বিকল হয়ে প্রায় অবলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে এই ঝাড়ুদার পাখিরা।
advertisement
advertisement
হালে দেশে ওই ওষুধ গুলি নিষিদ্ধ হওয়ার দরুন পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক । জানা যায় প্রতিবেশী দেশ ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশও একযোগে ওই ওষুধ গুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি অপূর্ব সেন বলেন \"প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় শকুনরা অগ্রণী ভুমিকা পালন করে।তাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই পাখিদের ধাপে ধাপে প্রকৃতিতে ফেরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।আরও দশটি হোয়াইটব্যাক্ড আকাশে ওড়ার অপক্ষায় রয়েছে।\"
advertisement
Annanya Dey
view comments
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar: রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছাড়া হল হোয়াইট ব্যাক্ড শকুন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement