শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থানার বীরপাড়া চা বাগানের টুকরা জটেশ্বর ডিভিশনে।থাবার আঘাতে চিতাবাঘটি খুবলে নিয়েছে ওই ছাত্রের গলার মাংস, সঙ্গে মাথাতেও গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।আশঙ্কাজনক অবস্থায় জীবন ওঁরাও বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি আছে।জীবন বীরপাড়ার ফতেমা হিন্দি হাইস্কুলের ছাত্র।
আরও পড়ুনঃ সরকারি ঘর পেতে দিতে হবে ৩০০০০ টাকা, দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম এলাকা
advertisement
খানিকটা শুনশান জায়গায় চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটায় বেশ খানিকটা সময় নিজেকে বাঁচাতে ওই চিতাবাঘের সঙ্গে লড়তে হয়েছে ওই ছাত্রকে।তার আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় কিছু যুবক ছুটে এলে ওই ছাত্রটিকে ছেড়ে দিয়ে চা বাগানে লুকিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। এলাকার আতঙ্কিত বাসিন্দারা বনদফতরের কাছে খাঁচা পাতার আবেদন জানিয়েছেন। আক্রান্ত ওই ছাত্রকে বাঁচাতে স্থানীয় যুবকরা ছুটে না এলেও, তার প্রাণ সংশয়ের প্রবল সম্ভাবনা। ঘটনার পর থেকে জীবন ওঁরাওকে আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করে রেখেছে যে, সে প্রায় কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আধুনিকতার ছোঁয়ায় কদর কমেছে চৌডলের, মকর সংক্রান্তিতে ভাটা পড়ছে টুসুতে
দু'মাস আগেই বীরপাড়া থেকে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে জটেশ্বরের দিকে ফেরার পথে বীরপাড়া চা বাগানের পাশের চা বাগান দলগাঁওয়ের কাছে চলন্ত মোটরসাইকেলে সওয়ার এক তরুণীর উরুর মাংস খুবলে নিয়েছিল এক চিতাবাঘ। সংলগ্ন এলাকাতেই দিনের আলোতে এক ছাত্র গুরুতর জখম হওয়ায় গ্রামবাসীদের আতঙ্ক গ্রাস করেছে।
আতঙ্কিত জীবন জানায়, 'চা গাছের ঝোপে যে চিতাবাঘটি ঘাপটি মেরে ছিল তা অনুমান করতে পারিনি। আচমকাই আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেই আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। চিতাবাঘটি যখন আমাকে ঘায়েল করে চা গাছের ঝোপের ভেতরে টানতে শুরু করেছিল। তখনই কয়েকজন দাদা এসে আমার প্রাণ বাঁচায়।'
জীবনের মামা রাজু ওঁরাও বলেন 'ভাগ্যের জোরে ভাগ্নে বেঁচে গিয়েছে।একটা সময় রাত নামলেই চিতাবাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা যেত।কিন্তু দিনের বেলায় পথ চলতি মানুষের উপর চিতাবাঘের হামলার ঘটনায় আমরা প্রচন্ড আতঙ্কিত।'
Annanya Dey