এলাকায় বৃষ্টি শুরু হলেই আতঙ্কের ছাপ দেখা যায় শ্রমিকদের চোখেমুখে।কেননা এরমধ্যেই কোঠি লাইনের দুটি শ্রমিক আবাসনের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।এই দুই আবাসনের শ্রমিকরা মাথা গোঁজার ঠিকানা খুঁজে বেরচ্ছেন।দ্রুত সমস্যার সমাধান চাইছেন বাগানের শ্রমিকরা।ঝোড়ায় জল বেড়ে যাওয়ায় বাগানের রাস্তাগুলিও ভেঙে গেছে।
রাজাভাত চা বাগানের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের বলে জানান বাগান ম্যানেজার সুদীপ ব্যাস। চিঞ্চুলা চা বাগানের জল এসে পড়ছে রাজাভাত চা বাগানে। ঝোড়ার জল বেড়েই চলেছে। চা বাগানের পাশ দিয়ে রেললাইন চলে যাওয়ায় জল ঠিকমতো বেরতে পারছে না। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে হলে বাগানে একটি গার্ডওয়াল ও পাকা নিকাশি নালা তৈরি করা আবশ্যক বলে মত বাগান কর্তৃপক্ষের।বাগান ম্যানেজার জানান,লাগাতার পাঁচদিনের বৃষ্টিতে চার হেক্টর জমি বিলীন হয়েছে ঝোড়ার জলে। দুবছর মিলিয়ে পঞ্চাশ হাজার চা গাছ নষ্ট হয়েছে ঝোড়ার জল বৃদ্ধি পেয়ে।
advertisement
রাজাভাত চা বাগানের এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে কালচিনির বিডিও সেখানে যান। বাগানের শ্রমিক মহল্লা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে।জানা গিয়েছে বাগানে গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল গারোপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে। কিন্তু বৃষ্টিতে গার্ডওয়ালটি ভেঙে গিয়েছে। বৃষ্টি কমলে ফের নতুন করে গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু হবে বলে কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ আশ্বাস দিয়েছেন। নির্মীয়মান গার্ডওয়ালটি কেন ভেঙে পড়ল সেবিষয়ে তদন্ত করবেন বিডিও বলে জানিয়েছেন।
এলাকায় বৃষ্টি কমছেই না। রাত করে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এই দেখে আতঙ্কে দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না বাগান শ্রমিকরা। ঝোড়ার জলে ভেঙে পড়বে আবাসন, এই দুশ্চিন্তা সকলের। ঝোড়ার জলের গ্রাসে সম্পূর্ণ বাগানটি শেষ হয়ে গেলে কর্মসংস্থান হারিয়ে যাবে।বাগান রক্ষার জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন শ্রমিকরা।
অনন্যা দে