TRENDING:

Alipurduar News: কালচিনিতে পুণ্যার্থীদের ছট সামগ্রী বিতরণ করলেন সমাজসেবীরা

Last Updated:

ছটপুজোর আগে কালচিনির সমাজসেবীরা পুজোর সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন ব্রতীদের হাতে। পুজো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তারা। ছটব্রতীদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থা বেহাল লক্ষ্য করা যায় কালচিনি ব্লকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#আলিপুরদুয়ার : ছটপুজোর আগে কালচিনির সমাজসেবীরা পুজোর সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন ব্রতীদের হাতে। পুজো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তারা। ছটব্রতীদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থা বেহাল লক্ষ্য করা যায় কালচিনি ব্লকে। তবুও সূর্যদেবের উপাসনায় কোনও খামতি রাখতে চান না তারা। তাদের এই উদ্দীপনা দেখে এগিয়ে এসেছেন সমাজসেবীরা। নতুন জামাকাপড় থেকে শুরু করে পুজোর বিভিন্ন উপকরণ তুলে দিচ্ছেন তারা। তাদের একটাই কথা পুজোতে যেন কোনও বাধা না পান ব্রতীরা। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, প্রতিটি মুহূর্তে উৎসবের আমেজ লেগেই রয়েছে।
advertisement

আর সমস্ত উৎসব ওপুজো অনুষ্ঠানের পাশাপাশি হিন্দু ধর্ম অনুসারে ছট পুজো হলো মূলত সূর্যদেবের পুজো। ছট পুজো ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু কিছু অংশে খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপন করা হয়। ছট পুজো হল সূর্য এবং তার স্ত্রী ঊষা দেবীর একটি পুজো। তবে ছট পুজোর মধ্যে দিয়ে সূর্যদেবের উপাসনা করা হয়, প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্ল তিথিতে চতুর্দশীর দিন অর্থাৎ কালী পুজোর ছয় দিন পর থেকে সপ্তমী পর্যন্ত মোট চার দিন ধরে এই ছট পুজো পালন করা হয়। হিন্দু ধর্মে রামায়ণ এবং মহাভারতের কাহিনীতে ছট পুজার বর্ণনা পাওয়া যায়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ হ্যামিল্টনগঞ্জে কালীপুজোর উদ্বোধন, দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

এছাড়া রামায়ণের শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা থেকে যখন অযোধ্যায় ফিরে আসেন, তখন অযোধ্যায় ফিরে এলে রামচন্দ্রের রাজ্য অভিষেক করা হয়েছিল। রামচন্দ্র তখন তার স্ত্রীর সীতার সঙ্গে প্রজা কল্যাণে রাম রাজ্য স্থাপনের জন্য কার্তিক মাসের শুক্ল ষষ্ঠীতে সূর্যের উপাসনা করেছিলেন। এছাড়া মহাভারতের কাহিনীতে ছট পূজার যে উল্লেখ পাওয়া যায় সেখানে পঞ্চ পান্ডব দের স্ত্রী দ্রৌপদী কৌরব দের হাত থেকে হস্তিনাপুরের রাজপাট ফিরে পাওয়ার জন্য সূর্যের উপাসনা করেছিলেন।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ প্রগতি সংঘের জাঁকজমকপূর্ণ কালীপুজোয় উপচে পড়ল ভীড়

এছাড়াও সূর্য পুত্র কর্ণ প্রত্যেকদিন সকালবেলা স্নান সেরে অঙ্গরাজ্যের কল্যাণে সূর্যের উপাসনা করতেন। ছট পুজোর দ্বিতীয় দিন হল পঞ্চমীর দিন, যেটা খরনা ব্রত পালন করার দিন। ছট পুজোর তৃতীয় দিন হলো ষষ্ঠীর দিন। এই দিনে ছট পুজোর ব্রত পালনকারী মহিলারা সূর্যাস্তের সময় ডুবতে থাকা সূর্যকে গঙ্গাঘাটে অথবা বড় কোন জলাশয়ের ধারে ধামা ভর্তি করে গোটা আখ গাছ, হলুদ গাছে এছাড়া পুজোর বিভিন্ন উপাদেও সামগ্রী নিয়ে গিয়ে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করে থাকেন। এই পুজো চতুর্থ দিন মানেই তো সপ্তমীর দিন।এই দিন সকালবেলা সূর্য উদয়ের সময় যারা ছট পুজোর জন্য ব্রত পালন করছেন, সেই সমস্ত মহিলারা তাদের পরিবারের সঙ্গে ছট ঘাটে গিয়ে সূর্য দেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করে ছট পুজোর উপবাস ভঙ্গ করে থাকেন।

advertisement

 

 

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

Annanya Dey

বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar News: কালচিনিতে পুণ্যার্থীদের ছট সামগ্রী বিতরণ করলেন সমাজসেবীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল