Alipurduar News: হ্যামিল্টনগঞ্জে কালীপুজোর উদ্বোধন, দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
৮৮ তম ঐতিহাসিক হ্যামিল্টনগঞ্জ কালীপুজোর মেলা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল মঙ্গলবার রাতে।এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ সহ বিশিষ্টজনেরা।
#আলিপুরদুয়ার : ৮৮ তম ঐতিহাসিক হ্যামিল্টনগঞ্জ কালীপুজোর মেলা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল মঙ্গলবার রাতে। এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ সহ বিশিষ্টজনেরা। ইউরোপীয়ন সাহেবদের হাত ধরে চালু হয়েছিল এই মেলা। মাঝে করোনার জেরে ২ বছর মেলা হয়নি। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকতেই আয়োজিত হল এই মেলা। এলাকার এই কালিপুজো মেলায় বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম, কাশ্মীর থেকে বিক্রেতারা এসেছে বিভিন্ন জিনিসের স্টল নিয়ে। এছাড়া এই মেলাতে সার্কাস, নাগোরদোলা, নৌকা এসেছে আগামী ১৩ দিন চলবে এই মেলা।
আলিপুরদুয়ার জেলা তথা ডুয়ার্সের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কালিপুজো হল হ্যামিল্টনগঞ্জের কালি মন্দিরের পুজো। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এবছর জাকজমকপূর্ণভাবে আয়জন করা হচ্ছে পুজোর। এবছর এই পুজোর ১০৬ তম বর্ষ। ১৯১৭ সালে সাহেবদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো। এর জন্য একটি কাঠের তৈরি মন্দির ও মাটির প্রতিমা স্থাপন করেছিলেন ইংরেজরা। স্বাধীনতার পর স্থানীয় মানুষেরা প্রতিবছর এই পুজো করে আসছেন। পরবর্তীতে আশপাশের চা বলয়ের শ্রমিক ও জনগণের সহায়তায় পাকা মন্দির ও ২০০২ সালে পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হয়। সেই সময় থেকেই মন্দিরে পুজো করে আসছেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
বর্তমানে তার বয়স ৮৭। বছরের অন্য দিন যেমন তেমন, তবে কালী পুজোর দিনে আলিপুরদুয়ার জেলা ছাড়াও আশপাশের একাধিক জেলা থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। পুজো কমিটির সভাপতি জিবেশ নষ্কর ও কার্যকরী সদস্য সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানান, ১৯১৭ সালে যে রীতিতে পুজো হত সেই রীতি মেনেই আমরা পুজো করে আসছি। করোনার কারনে গত দু বছর পুজোতে দর্শনার্থীদের অনেক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়েছে, যা এবছর হয়নি।'
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রগতি সংঘের জাঁকজমকপূর্ণ কালীপুজোয় উপচে পড়ল ভীড়
অন্যদিকে, এই কালী পুজোকে কেন্দ্র করে হ্যামিল্টনগঞ্জের একাধিক এলকা জুড়ে আয়জন করা হয় বিশাল মেলারও। গত দুবছর করোনার কারনে মেলা না হলেও, এবছর তা হচ্ছে। ১৩ দিন ব্যাপী এই মেলা চলবে বলে মেলা কমিটির তরফে জানানো হয়। এ খবর চাউর হতেই এক নতুন অক্সিজেন পেয়েছেন হ্যামিল্টনগঞ্জবাসী। কারন দুর্গা পুজো ও কালি পুজোর পর যেখানে সকলের মান ভার থাকে, সেখানে এই মেলা হ্যামিল্টনগঞ্জ বাসী ও চা শ্রমিকদের জন্য মনোরঞ্জনের অন্যতম রসদ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণের
মূলত ৮৮ বছর আগে চা শ্রমিকদের মনোরঞ্জনের অন্যতম উৎস হিসেবে এই মেলার আয়জন করা হয় বলে মেলা কমিটির তরফে জানানো হয়। যেখানে বিভিন্ন রাজ্য ও প্রতিবেশী দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে দোকান দিতে আসেন। মেলা কমিটির সহ সম্পাদক পরিমল সরকার জানান, ' আগেকার দিনে মানুষের মনোরঞ্জনের অন্যতম উৎস ছিল এই মেলা। ইংরেজদের হাতে মেলা শুরু হলেও আমরা সেই ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছি।তবে করোনার কারণে গত দুবছর মেলা না হলেও, এবছর হচ্ছে। রকমারি দোকান, নাগরদোলার পাশাপাশি থাকছে সার্কাস। এছাড়া কিছু নতুনত্ব করারও প্রয়াস রয়েছে আমাদের।'
advertisement
Anannya Dey
Location :
First Published :
October 26, 2022 5:27 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar News: হ্যামিল্টনগঞ্জে কালীপুজোর উদ্বোধন, দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়