কি এই ই এল পি?
advertisement
চা বাগানের শ্রমিক যারা বাগানে কাঁচা পাতা তুলে তাদের কাঁচা পাতা তোলার একটা লক্ষ্যমাত্রা থাকে। চা বাগানের শ্রমিকদের কাঁচাপাতা তোলার লক্ষ্যমাত্রা ২৫ কেজি। আর এই ২৫ কেজি কাঁচা পাতা তোলার পর যত বেশি কাঁচা পাতা তোলা হবে প্রতি কেজি ৩ টাকা করে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হবে। এমনকি ৩০ কেজির উপরে কাঁচাপাতা তোলা হলে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ৩.৫০ টাকা প্রদান করা হবে। একেই বলা হয় ই এল পি (এক্সট্রা লিভ প্রাইস)। চা বাগানের ভাষায় যাকে বলা হয় ডাবলি।
আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফিরে পেলেন মালিকরা! সৌজন্যে আলিপুরদুয়ার পুলিশ
উত্তরবঙ্গের একমাত্র বৃহৎ শিল্প চা শিল্প আর উত্তরবঙ্গের ৩৫০ টি অধিক চা বাগানে প্রায় চার লক্ষ শ্রমিক কর্মরত। এই চা বাগানে যারা কাঁচা চা পাতা তোলে সেই সমস্ত শ্রমিকদের ই এল পি বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছে সব পক্ষ। ইতিমধ্যে ই এল পি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চা বাগান শ্রমিকরা। জানা যায় যখন কাঁচা পাতার দাম ১৬ থেকে ১৮ টাকা ছিল তখনও শ্রমিকদের ৩.৫০ টাকা প্রতি কেজিতে প্রদান করা হত।
আরও পড়ুনঃ ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় নো ম্যানস্ ল্যান্ডের বাসিন্দারা!
আর এখন যখন কাঁচা পাতার দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা এখন ও শ্রমিকদের ই এল পি ঐ একই রয়ে গেছে এক টাকাও বাড়েনি। এর ফলে ক্ষুব্ধ চা বাগান শ্রমিকরা। ই এল পি নিয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ বাগান শ্রমিকদের। তাদের দাবি ই এল পি ৮ টাকার ওপরে করা প্রয়োজন শীঘ্রই। চা বাগানের শ্রমিকরা আরও জানান দীর্ঘদিন তারা ৩.৫০ টাকা করে ই এল পি পাচ্ছেন। বৃদ্ধি হয়নি এই টাকা। সব কিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু এল পি আর বৃদ্ধি হচ্ছেনা।এদিকে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়ছে।ইএলপি-র ভরসায় তারা বেশি পরিশ্রম করতে প্রস্তুত। কিন্তু ইএলপি যদি বৃদ্ধি না হয় তাহলে কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তারা।
Annanya Dey





