“পুতুল নেবে গো” গানটির লাইনগুলি সকলের মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে।তবে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা গানটি শুনে থাকলেও মাটির পুতুল নিয়ে খেলার খুব একটা সুযোগ পায় না। কারণ আজকাল খুব একটা দেখা যায় না মাটির পুতুল।মেলাগুলিতে খুব কম সময়ই দেখা মেলে মাটির পুতুলের। বিলুপ্তির পথে এই খেলনা। তবে মাটির পুতুল এখনও তৈরি করে যান কিছু শিল্পী। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন আলিপুরদুয়ারের বারবিশার সঞ্জয় লাহা। আগে তাঁর বাবা,কাকারা এই কাজ করতেন। তাই তিনি মনেপ্রাণে চান তার পরবর্তী প্রজন্মকও মাটির পুতুল তৈরির কাজ শিখুক।
advertisement
সঞ্জয় লাহা জানান,\” আগে মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল মাটির পুতুল, খেলনা। এখন আর এগুলি দেখা যায় না। বাচ্চারা মেলায় এসে তাদের পছন্দ মত কিছু পায় না বলে তাড়াতাড়ি মেলা থেকে বেড়িয়ে যেতে চায়। এই শিশুমনের কথা মাথায় রেখেই শুধু মাটির পুতুল তৈরি করি না। এখন তৈরি করছি মাটির মাছ, ফল, টাকা জমানর ঘট।”
আরও পড়ুন: পূর্ণবয়স্ক মানুষের হাতের তালুর চেয়েও ছোট দুর্গামূর্তি! দশমীর রাতে তাক লাগাল কলকাতার ক্ষুদে
বর্তমান যুগের শিশুরা ফোনের প্রতি খুবই আসক্ত। গেমস এই মজে থাকে তারা। তাদের মাটির কাছাকাছি নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন সঞ্জয় লাহা।আগে মেলায় এলে খেলনা কিনে নিয়ে যেত শিশুরা। সঞ্জয় লাহার মতে মেলায় এসে আকর্ষণ খুঁজে পায় না বলে শিশুরা মোবাইল গেমস পছন্দ করে। সরলতা হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব থেকে। ফলের আকার দিয়ে পয়সা জমানর ভাঁড় তৈরি করেন তিনি। যাতে ফল সম্পর্কে পরিচিতি বাড়ে।পাশাপাশি পুরনো দিনের মত ভাঁড়ে টাকা জমানর অভ্যাসও ফিরে আসে।
Annanya Dey