এর আগেও কালচিনি ব্লকের চুয়াপাড়া চা বাগান থেকে ১৩ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার করে হ্যামিল্টণগঞ্জ রেঞ্জ। চুয়াপাড়া চা বাগানে ২১ নং সেকশনে সকালে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা।সেই সময় চা বাগানের নালায় এই অজগরটি দেখতে পান শ্রমিকরা।খবর দেওয়া হয় বনদফতরের হ্যামিল্টনগঞ্জের বনকর্মীদের।এরপর বনকর্মীরা এসে নালা থেকে ১৩ লম্বা অজগর উদ্ধার করে। অজগরটি দেখতে আশেপাশের মানুষেরা ভিড় জমায়।অজগরটি সুস্থ থাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Coochbehar News: দিনহাটায় চলছে জন্মাষ্টমীর মেলা, চোখ টানছে খাবারের দোকান
সম্প্রতি ফালাকাটাতেও দেখা মিলেছিল অজগরের। ঘুম থেকে উঠেই গৃহস্থের বাড়ির উঠোনে দর্শন মেলে বিশালাকার অজগরের।এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে ফালাকাটার ধুলাগাঁও এলাকাতে।অজগর দেখতে ভিড় জমে এলাকাবাসীদের।
আরও পড়ুন - Bank Holidays September: এখনই জেনে নিন কবে কবে যাবেন না ব্যাঙ্কে, ১২ দিনের বেশি বন্ধ থাকছে বন্ধ
রথীন্দ্রনাথ রায়ের বাড়িতে সকাল থেকেই এলাকাবাসীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।অজগর সাপের খোঁজ পেতে ধুলাগাঁও-এর পাশের এলাকা থেকেও মানুষ ভীড় জমান। রথীন্দ্রনাথ রায় পেশায় একজন জেলে।মাছধরার জাল তার বাড়িতে মজুত থাকে সবসময়।এই মাছের জালে বিশালাকার অজগর জড়িয়ে যাবে তা তার জানা ছিল না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে ব্যস্ত হবেন সেসময় রথীন্দ্রনাথ রায় তার ছেলের বৌয়ের চিৎকার শুনতে পান। দৌড়ে উঠোনে গিয়ে দেখেন মাছের জালে আটকে রয়েছে বিশালাকারের অজগর।খবর চাউর হতে এলাকাবাসীরা সেস্থানে চলে আসে।
এরপর রথীন্দ্রনাথ রায় বন দফতরের মাদারিহাট রেঞ্জে খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কোথা থেকে ওই অজগর লোকালয়ে এল সেটা নিয়ে নিশ্চিত কিছুই বলতে পারছেন না তারা। খবর পেয়ে মাদারিহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।এরপরেই ভিড় সরানোর কাজে তারা হাত লাগান।পরবর্তীতে অজগরটি উদ্ধার করে তারা নিয়ে যান।জানা গিয়েছে অজগরটি আট ফুট লম্বা।বনকর্মীদের অনুমান এলাকায় মুরগির ফার্ম রয়েছে।এই মুরগি খাবার লোভে অজগরটি এসেছিল।অজগরটি সুস্থ থাকায় পরবর্তীতে সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Annanya Dey