এখানে প্রতিমা তৈরি হয় মন্ডপের ভেতরেই। তাই দর্শনার্থীদের কৌতূহল শুরু এখন থেকেই। মণ্ডপ ও প্রতিমার এই বিশাল প্রকল্পে দিনরাত এক করে কাজ করছেন কৃষ্ণনগর থেকে আসা দক্ষ শিল্পীরা। পুরো কাঠামো তৈরি হচ্ছে বিশেষ ফাইবার দিয়ে, যা মণ্ডপে ঢুকলেই দর্শনার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা বয়ে আনবে। শুধু দুর্গা প্রতিমাই নয়, সঙ্গে থাকছে একাধিক দেব-দেবীর মূর্তি, যেগুলিতে ফুটে উঠছে সূক্ষ্ম কারুকার্য।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে দুলদুলিতে মহিলা সহ ৩ বাংলাদেশি! হানা দিতেই যা দেখল পুলিশ, চমকে যাবেন
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির এই পুজোর প্রতিমার উচ্চতা হবে ১৪ ফুটেরও বেশি। ভক্তরা মণ্ডপে প্রবেশ করলেই যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠবে দক্ষিণ ভারতের সেই স্থাপত্যের জাঁকজমক।আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর আবহাওয়া বিশেষ কোনও বাধা সৃষ্টি করেনি। ফলে দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে প্যান্ডেলের কাজ। কাঠামো এখন প্রায় সম্পূর্ণ, শুধু শেষ পর্যায়ের শৈল্পিক সাজসজ্জা বাকি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ক্লাব সদস্যরা বলছেন, “প্রতিবার আমরা দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চাই। এ বছর শিল্প আর ভক্তির মিলনে তৈরি হচ্ছে এক বিশেষ আবহ।” শহরের মানুষ ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে দিশারী ক্লাবের এই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, এবার দুর্গোৎসব মানেই শুধু আনন্দ নয়, সঙ্গে মিলবে দক্ষিণ ভারতের এক টুকরো রূপকথার আবেশ। জলপাইগুড়ির মানুষদের কাছে এ বছর দিশারী ক্লাবের দুর্গোৎসব নিঃসন্দেহে হতে চলেছে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা, যেখানে পুজো মিলবে শিল্প, ঐতিহ্য আর সৃজনশীলতার এক অনন্য মেলবন্ধনে!