প্রতিভার কাছে হার আর্থিক প্রতিকূলতার! রাজ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারে জাতীয় স্তরে সোনা জয়ের দৌড়ে মালদহের অঙ্কুশ!

Last Updated:
Taekwondo: পুরাতন মালদহের কালাচাঁদ হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কুশ রায় (১৬)। বাড়ি পুরাতন মালদহের তৈলমুন্ডি এলাকায়। বাবা অভিজিৎ রায় পেশায় একজন হকার।
1/6
জাতীয় স্তরে তাইকোন্ড মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় সুযোগ হল মালদহের অঙ্কুশ রায়ের। রাজ্যে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জয়ের পর এবার বাংলার হয়ে জাতীয় স্তরে মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ হল মালদহের অঙ্কুশ রায়। তাঁর এমন সাফল্যে খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে পরিবার সহ জেলা জুড়ে।(ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
মালদহ, জিএম মোমিন: জাতীয় স্তরে তাইকোন্ডো মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় সুযোগ হল মালদহের অঙ্কুশ রায়ের। রাজ্যে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জয়ের পর এবার বাংলার হয়ে জাতীয় স্তরে মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেল মালদহের অঙ্কুশ। তার এমন সাফল্যে খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে পরিবার সহ জেলা জুড়ে।
advertisement
2/6
জেলায় প্রথম হ‌ওয়ার পর ৬৯ তম রাজ্য স্কুল গেমস দ্বারা আয়োজিত রাজ্য স্তরের তাইকোন্ড মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে খেলার সুযোগ হয় অঙ্কুশ রায়ের। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় ১৬ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জয় লাভ করে সে। এরপর অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া দ্বারা আয়োজিত জাতীয় স্তরের তাইকোন্ড প্রতিযোগিতায় সুযোগ হয় তাঁর।(ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
জেলায় প্রথম হ‌ওয়ার পর ৬৯'তম রাজ্য স্কুল গেমস দ্বারা আয়োজিত রাজ্য স্তরের তাইকোন্ড মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে খেলার সুযোগ পায় অঙ্কুশ। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় ১৬ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করে সে। এরপর অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া দ্বারা আয়োজিত জাতীয় স্তরের তাইকোন্ডো প্রতিযোগিতায় সুযোগ হয় তার। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
advertisement
3/6
পুরাতন মালদহের কালাচাঁদ হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কুশ রায় (১৬)। বাড়ি পুরাতন মালদহের তৈলমুন্ডি এলাকায়। বাবা অভিজিৎ রায় পেশায় একজন বিস্কুট হকার। মা পদ্মা রায় একজন গৃহবধূ। পরিবারের হাল ধরতে বাবা অভিজিৎ রায় প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সাইকেলে করে বিস্কুটের হকারি করেন।(ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
পুরাতন মালদহের কালাচাঁদ হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কুশ রায় (১৬)। বাড়ি পুরাতন মালদহের তৈলমুন্ডি এলাকায়। বাবা অভিজিৎ রায় পেশায় একজন বিস্কুট হকার। মা পদ্মা রায় একজন গৃহবধূ। পরিবারের হাল ধরতে বাবা অভিজিৎ রায় প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সাইকেলে করে বিস্কুটের হকারি করেন। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
advertisement
4/6
বাবা অভিজিৎ রায় জানান,
বাবা অভিজিৎ রায় জানান, 'শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানে সাইকেলে করে বিস্কুট বিক্রি করি। তবে ছেলের পড়াশোনার জন্য কোন খামতি রাখিনি। ছেলে এলাকারই একজন তাইকোন্ডো প্রশিক্ষক কৃষ্ণা বাসফোরের কাছে প্রশিক্ষণ নিত। আর্থিক অনটন থাকায় ছেলেকে সেখানে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিতেন কৃষ্ণা বাবু। এই সাফল্যের পেছনে তার কোচের বড় অবদান রয়েছে। ছেলের এমন সাফল্য দেখে খুব ভাল লাগছে'। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
advertisement
5/6
এই বিষয়ে কোচ কৃষ্ণ বাসফোর বলেন,
এই বিষয়ে কোচ কৃষ্ণ বাসফোর বলেন, 'তার ইচ্ছা শক্তি এবং প্রতিভার জন্য অঙ্কুশ এই জায়গায় আসতে পেরেছে। তাকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতাম। তার আর্থিক অনটনের কথা জানতে পেরে বিনামূল্যে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এই প্রথম পুরাতন মালদহ থেকে কোন ছেলে জাতীয় স্তরে খেলতে যাবে। তার এমন সাফল্য দেখে খুব ভাল লাগছে'। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
advertisement
6/6
আজও আর্থিক অনটনের কারণে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের স্বপ্ন থমকে যায়। আর্থিক অবস্থার অজুহাতে খেলাধুলা থেকে সরে যান বহু ভাল খেলোয়াড়। তবে পুরাতন মালদহের অঙ্কুশের কাছে হার মেনেছে আর্থিক প্রতিকূলতা। আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তার এমন সাফল্য নজর কেড়েছে সকলের। তার এই সাফল্য হার মানাবে সিনেমার কাহিনীকেও।(ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
আজও আর্থিক অনটনের কারণে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের স্বপ্ন থমকে যায়। আর্থিক অবস্থার অজুহাতে খেলাধুলা থেকে সরে যান বহু ভাল খেলোয়াড়। তবে পুরাতন মালদহের অঙ্কুশের কাছে হার মেনেছে আর্থিক প্রতিকূলতা। আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তার এমন সাফল্য নজর কেড়েছে সকলের। তার এই সাফল্য হার মানাবে সিনেমার কাহিনীকেও। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
advertisement
advertisement
advertisement