Sofia Qureshi: ‘ঠাকুমা লড়েছেন রানি লক্ষ্মীবাইয়ের বাহিনীতে’! রক্তে যোদ্ধার রক্ত, বীর কন‍্যা কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারের গল্পে গায়ে কাঁটা দেয়

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানের মাটিতে থাকা ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর।

এরপর থেকে ভারত-পাকিস্তান টানাপোড়েনের সাংবাদিক বৈঠক করে দেশবাসীকে জানাচ্ছেন দেশের দুই বীর কন‍্যা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ।

ভারত-পাকিস্তানের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মাঝেই দেশের দুই মহিলা যোদ্ধাকে নিয়েও দেশবাসীর উত্‍সাহের অন্ত: নেই। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন সোফিয়া কুরেশি এবং ব‍্যোমিকা সিং।

২০১৭ সালে একটি সাক্ষাৎকারে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেছিলেন, “আমি ফৌজির সন্তান। আমি সেনার কঠোর নিয়ম-অনুশাসনের পরিবেশেই বড় হয়েছি। আমার ঠাকুমার মা রানি লক্ষ্মীবাইয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে লড়েছিলেন। তিনি মহিলা যোদ্ধা ছিলেন।”

সোফিয়া কুরেশি গুজরাতের বাসিন্দা। ১৯৮১ সালে গুজরাতের ভদোদরায় তাঁর জন্ম। বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর। সোফিয়ার দাদাও সেনাবাহিনীতে ছিলেন, ঠাকুরদাও৷ তাঁর বাবাও কয়েক বছর ধরে সেনাবাহিনীতে একজন ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সোফিয়া মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রির এক সেনাকর্তা মেজর তাজুদ্দিন কুরেশির স্ত্রী এবং তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে৷ নাম, সমীর কুরেশি।

১৯৯৯ সালে সোফিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ। এরপর সোফিয়া সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ২০০৬ সালে, সোফিয়া কঙ্গোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।