Hooghly News: ৭১-এর যুদ্ধে বাঁচিয়েছিলেন মুমূর্ষ সৈনিকদের! দেশের প্রয়োজন এখনও প্রস্তুত প্রাক্তন সেনা ডাক্তার
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Rahi Haldar
Last Updated:
যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে যখন গোটা দেশ ফুঁসছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সময় পুরাতন স্মৃতিচারণ করে নতুনদের উদ্দীপনা দিচ্ছেন একাত্তর যুদ্ধের ক্যাপ্টেন সমীর দত্ত।
হুগলি: অপারেশন সিন্দুর নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি দেশ জুড়ে। যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে যখন গোটা দেশ ফুঁসছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সময় পুরাতন স্মৃতিচারণ করে নতুনদের উদ্দীপনা দিচ্ছেন একাত্তর যুদ্ধের ক্যাপ্টেন সমীর দত্ত।
হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন সমীর রুদ্র ছিলেন একাত্তরের যুদ্ধের মেডিকেল অফিসার। যুদ্ধের সময় তিনি নিজের হাতে প্রাণ বাঁচিয়েছেন কয়েক’শ মুমূর্ষ সৈনিকের। আজ যখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি দেশে সেই সময় দেশ সেবায় আবারও এগিয়ে আসতে চান তিনি।
ভারতীয় সেনার সিক্স বিহার রেজিমেন্টের মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন সমীর দত্ত ছিলেন। তিনি যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনে সামিল হয়েছিলেন। তাদের রেজিমেন্টের হাজার সেনা কর্মীর চিকিৎসার দায়িত্ব ছিলেন তিনি। পাকিস্তান যেভাবে ডেরা গেড়ে বসেছিল ময়মনসিংহে। ভারতীয় স্থল সেনার পক্ষে এয়ার সাপোর্ট ছাড়া পাকিস্তানী সেনাকে ধ্বংস করা অসম্ভব ছিল। হালুয়াঘাটের যুদ্ধে দুবার এয়ার সাপোর্টের পর পিছু হটতে হয়েছিল পাকিস্তানি সেনাকে।
advertisement
advertisement
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর ১১.২৫ মিনিটে ঢাকায় প্রথম প্রবেশ করে বিহার রেজিমেন্ট। সেই সমস্ত ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন সমীর। ভারতের কাছে পাকিস্তানের জেনারেল এ একে নিয়াজী আত্মসমর্পণ করার ছবিতে আছেন ভারতীয় এই সেনার মেডিকেল অফিসার।ডান হাতে কারবাইন ও বাম হাতে মেডিকেল ব্যাগ নিয়ে বহু সেনাকে বাঁচিয়ে ছিলেন। তাদের রেজিমেন্টে চার জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়। পাকিস্তানি সেনার তিন জনকে আটক করেছিল তারা।
advertisement
সেই সময় পাকিস্তানের বর্ডার থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে বন জঙ্গল কাদা ও মাঠের মাঝখানে থেকে লড়াই করে ছিল ভারতীয় সেনা। এর সঙ্গে ছিল মুক্তি যোদ্ধারা। তাদের অবশ্য পিছনের সারিতেই রাখা হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন। সেই যুদ্ধের স্মৃতি আজও মনে করিয়ে দেয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর বর্তমানে তিনি এখনও ভদ্রেশ্বর গেট বাজারে সাধারন মানুষের চিকিৎসা করছেন।
advertisement
সেই যুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানকে স্বাধীন করার জন্য, বন্ধু হিসেবে পাব বলে যুদ্ধ করেছিলাম। একাত্তরে ৪ ডিসেম্বর ইন্টারন্যাশনাল বর্ডার অতিক্রম করে ভারতীয় সেনা। সেই দিন রাত বারোটার সময় মনময়সিংহের ঢুকেছিলাম। পাক সেনার ল্যান্ডমাইন্ড ও গুলিবর্ষণ উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে ছিলাম। কিছুটা এগোতেই প্রবল গুলি বর্ষন শুরু হয়েছিল ।এরপরই শুয়ে পড়ে পাকিস্তান সেনাকে পাল্টা গুলির জবাব দিলাম আমরা। ঠিক যেভাবে এখন হচ্ছে অপারেশন সিন্ধুর। তাদের সময় সেদিন নাম ছিল অপারেশন ক্যাকটাস লিলি।
advertisement
পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সেনাদেরকে সরিয়ে নতুন দেশ তৈরি করার শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ করতে নেমেছিলেন। সেবারেও জয় হয়েছিল আমাদের দেশের। এবারেও যেভাবে পাকিস্তান সন্ত্রাস গড়ে তুলেছে সেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আবারও এগিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনা। তাই ঠিক যেমন পাকিস্তানকে জব্দ করতে অপারেশন সিন্দুর চলছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশ যদি আবারও ভারত বিরোধী তা করে বা যুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করে তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই করতে আবারও তিনি প্রস্তুত।
advertisement
রাহী হালদার
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 13, 2025 3:37 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hooghly News: ৭১-এর যুদ্ধে বাঁচিয়েছিলেন মুমূর্ষ সৈনিকদের! দেশের প্রয়োজন এখনও প্রস্তুত প্রাক্তন সেনা ডাক্তার

 
              