হেতমপুরের রাজার সভাকবি ছিলেন, ছিল বিশাল সম্পত্তি! সাধক কবির বাড়ি আজ মিউজিয়াম, টুক করে ঘুরে আসুন

Last Updated:

তিনি যা দেখতেন, তাই নিয়েই ততক্ষনাৎ কবিতা বানিয়ে ফেলতেন। আবার ওই কবিতায় সুর চড়িয়ে গানও বেঁধে ফেলতেন।

+
নীলকন্ঠ

নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের ভিটে বাড়ি।

দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার : সুখ্যাত সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত ভিটে বাড়িতে আজও রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত শয়ন শয্যা সহ ভগ্নপ্রায় বাদ্য যন্ত্রাদি। রয়েছে প্রাচীন রাধাগোবিন্দ মন্দির সহ দুর্গা মন্দির। নীলকন্ঠমশাই ছিলেন বাংলা ভাষার উনিশ শতকের যাত্রা পালার অভিনেতা এবং গীতিকার। তিনি ছিলেন স্বভাবকবি। হেতমপুরের রাজার সভাকবি ছিলেন তিনি। ছিলেন বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী।
তাঁর ভিটে বাড়ি দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের ধবনী গ্রামে। বাড়িতে আজও রয়েছে প্রাচীন সেই আটচালা। রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির সহ তাঁর ব্যবহৃত নানান জিনিস সহ পুরনো বাদ্যযন্ত্রাদি। বিখ্যাত সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি সংরক্ষণে আসানসোল – দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ মিউজিয়াম তৈরি করে দিয়েছে।
advertisement
advertisement
তাঁর বংশধর সূত্রে জানা গিয়েছে, কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায় ১৮৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ধবনীতে। তিনি যা দেখতেন, তাই নিয়েই ততক্ষনাৎ কবিতা বানিয়ে ফেলতেন। আবার তক্ষনি ওই কবিতায় সুর চড়িয়ে গানও বেঁধে ফেলতেন। কন্ঠমশাই তাঁর সুরেলা কন্ঠ ও লেখনির গুনে খুব অল্প সময়েই ব্যাপক ক্ষ্যাতি অর্জন করেছিলেন। পাশাপাশি হয়ে উঠেছিলেন বিপুল সম্পত্তির অধিকারী।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রতিটি বাড়িতে প্রয়োজন দু’বেলা! সেই ব্যবসায় হাত পাকিয়েছে দাসপুর, চাহিদা মেটাতে গিয়ে নাজেহাল কারিগররা
তাঁর বংশধরেরা দাবি করেন, এক ঐশ্বরিক শক্তি বিরাজমান ছিল তাঁর মধ্যে। তাঁর সুরে ও কন্ঠে মুগ্ধ হতেন সবাই। জানা যায়, কন্ঠমশাইয়ের গান শুনে প্রশংসা করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব।  ১৯১১ সালে ত্রিবেণীর গঙ্গায় মৃত্যু বরণ করেন। শোনা যায় ইচ্ছামৃত্যু বরনের পূর্বে তিনি বলে গিয়েছিলেন তার এই বিষয় সম্পত্তি কিছুই থাকবেনা। হতদরিদ্র হবে এই পরিবার। তবে বংশ রক্ষা হবে।
advertisement
নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে ছিলেন কমলাকান্ত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেলে দুর্গাদাস মুখেপাধ্যায় এবং তাঁর সাত ছেলেরা হলেন বর্তমান চতুর্থ বংশধর। এই চতুর্থ বংশধরের এক ছেলে গনেশ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৃত্যুর পূর্বে কন্ঠমশাইয়ের করা ভবিষ্যৎ বাণী এক্কেবারে মিলে যায়। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তার অর্জন করা বিপুল সম্পত্তি। তাই কন্ঠমশাইয়ের মত একজন বিখ্যাত কবির ইতিহাস ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আসানসোল – দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে তাঁর স্মৃতি গুলি ফের পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ভিটে বাড়িতে একটি দ্বিতল মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে কন্ঠ মশাইয়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং নিচের তলায় রয়েছে মহড়া শালা। ওই মহড়াশালায় কন্ঠ মশাইয়ের রচিত গান-বাজনা, পালা কীর্তন ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। মিউজিয়াম তথা সংগ্রহশালায় রয়েছে কণ্ঠমশাইয়ের ব্যবহৃত শয়ন শয্যা , পুরানো বাক্স, বাসনপত্র, পালকি ইত্যাদি নানান সামগ্রি। পাশাপাশি তাঁর রচিত পুঁথি, পান্ডুলিপি, বই, কীর্তন পালা ইত্যাদি বহু মূল্যবান জিনিস রয়েছে সেখানে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হেতমপুরের রাজার সভাকবি ছিলেন, ছিল বিশাল সম্পত্তি! সাধক কবির বাড়ি আজ মিউজিয়াম, টুক করে ঘুরে আসুন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement